পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও একটি ব্যাংক গত বছরের তুলনায় বেশি আয় করে লভ্যাংশও বাড়িয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব পর্যালোচনা করে শেয়ার প্রতি এক টাকা করে নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
সোমবার রাতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আগের বছর ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ ও প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস দিয়েছিল।
২০২০ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর পুনর্মুল্যায়নকৃত আয় ছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১৬ পয়সা। অর্থাৎ এবার আয় বেড়েছে এক পয়সা।
যারা ট্রাস্ট ব্যাংকের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ৭ জুলাই শেয়ার ধরে রাখতে হবে। ৯ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে।
কেবল গত বছর নয় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসেও এই ব্যাংকটির আয় বেড়েছে।
এই সময়ে ট্রাস্ট ব্যাংক শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯১ পয়সা।
করোনাকালে এবার ব্যাংকের আয় ব্যাপকভাবে কমে যাবে বলে প্রচার ছিল। আর ৩১ ডিসেম্বর অর্থবছর শেষে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছিল, তাতে দেখা যায়, বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে।
তবে চূড়ান্ত মুনাফায় দেখা যায় চমক। হাতে গোনা এক দুটি ব্যাংক কেবল গত বছরের চেয়ে কম আয় করেছে। তবে বেশিরভাগের আয়ই বেড়েছে। আর লভ্যাংশও বেশি পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
এখন পর্যন্ত যে ২৯টি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে ব্যাংকগুলো ট্রাস্ট মিলিয়ে দুই হাজার ৪৫০ কোটি টাকার বেশি কেবল নগদে বিতরণ করতে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আছে বিপুল সংখ্যক বোনাস শেয়ার।
ব্যাংকগুলোর শেয়ার মূল্য এখন তলানিতে থাকায় বেশিরভাগ ব্যাংকে এখন সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা রাখার চেয়ে ব্যাংকের শেয়ার কেনাই বেশি লাভজনক।