বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে তরুণরা

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ২০:১১

কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ—এসব খাতে উদ্যোগের ঘাটতি আছে। জনমিতির সুবিধা (জনসংখ্যার অনুপাতে তরুণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি) কাজে লাগাতে হবে। তা না হলে কথা বলতে বলতেই সময় ফুরিয়ে যাবে।

কোভিড পরিস্থিতিতে ভয়াবহ কর্মসংস্থানের ঝুঁকিতে পড়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়েও তরুণদের ওপর নানা অভিঘাত আসছে, যার দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তরুণ জনশক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে বাজেটে সুস্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা নেই।

রোববার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘তরুণদের প্রেক্ষাপটে বাজেট’ বিষয়ে আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষক ইশরাত শারমীন।

সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। সঞ্চালনা করেন সানেমের গবেষণা পরিচালক সায়মা হক বিদিশা।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।

বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. হাসানুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কার্যক্রম এবং মূল্যায়ন) মোহাম্মদ ইসমাইল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (গবেষণা ও নীতি) ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বাজেট) সাবিনা ইয়াসমিন ও অগ্র ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান ফারজিন ফেরদৌস আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ডিজিটাল বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের তরুণরা। এতে তারা শহরের তুলনায় নানাভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। মাত্র ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। ৫৭ শতাংশ তরুণই প্রযুক্তির সেবা নিতে পারেননি।

২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তরুণদের উন্নয়নের জন্য নানাভাবে যুক্ত। আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ সরাসরি তরুণদের কেন্দ্র করে বরাদ্দ দেয়া হয়। ৬০ শতাংশ বরাদ্দ তরুণদের কাজে লাগে না। আর বাকি ২৬ শতাংশ বরাদ্দ আংশিকভাবে তরুণদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দে তরুণদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ—এসব খাতে উদ্যোগের ঘাটতি আছে। জনমিতির সুবিধা (জনসংখ্যার অনুপাতে তরুণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি) কাজে লাগাতে হবে। তা না হলে কথা বলতে বলতেই সময় ফুরিয়ে যাবে।

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, বাজেটে এ সময় সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু তরুণদের ছাড়া কীভাবে এত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব? তাই তরুণদের তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে হবে। আর তরুণরা দক্ষ হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে।

সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, তরুণদের জন্য অনেক ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়নের ঘাটতি আছে। তরুণদের যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, সেটা শ্রমবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাসানুল ইসলাম বলেন, ‘গেল দেড় বছরে কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তরুণসমাজ। বিশেষ করে বস্তি এলাকার অনেকে শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়েছেন। কত শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছেন, এখনও জানি না। স্কুল-কলেজ খুললে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বোঝা যাবে। কারা ঝরে পড়ছে, তা চিহ্নিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, করোনায় দরিদ্র পরিবারের অনেক তরুণ কাজ হারিয়েছেন। এমন তরুণদের নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে।

অগ্র ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান ফারজিন ফেরদৌস আলম তরুণ উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত তার আলোচনায় তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য ব্যাংকে আবেদন করার পর যেসব শর্ত দেয়া হয় তা ছিল অত্যন্ত জটিল এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই শর্ত পূরণ করা সম্ভব না। প্রণোদনা পাওয়ার জন্য প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। তিন মাস চেষ্টা করার পরও সেই প্রণোদনা না পেয়ে আশাহত হয়ে তিনি আর চেষ্টা চালাননি।

তিনি আরও জানান, এই কোভিড চলাকালে তিন-চার মাসের চেষ্টায় তিনি সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে দেড় কোটি টাকার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পাননি।

এ বিভাগের আরো খবর