দুই মাস বন্ধ থাকার পর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
বুধবার বেনাপোলের পেট্রাপোল দিয়ে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে নতুন করে আমদানি শুরু হয়।
আমদানি করা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। খুচরা বাজারে এই দাম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করছে স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে কেজিপ্রতি দর কমেছে ১০ টাকা। তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।’
আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজারমূল্য আরও কমে আসবে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়, তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পেঁয়াজ কিনতে বেকায়দায় পড়েন। সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তা তদারকির প্রতি জোর দেয়, তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে।’
ভারত সরকার প্রায়ই পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ও দফায় দফায় মূল্য বাড়িয়ে দেশের বাইরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। তাদের কয়েক শ কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে কেনা পেঁয়াজ ওপারে আটকা পড়ায় আমদানি করতে পারেননি।