বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্লোর প্রাইসই তাহলে লেনদেনে বাধা?

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ০৯:১০

রোববার ফ্লোর প্রত্যাহার করা ৩০টি কোম্পানির সবগুলো দর হারালেও মঙ্গলবার থেকেই পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। বেশ কয়েকটি কোম্পানি উঠে আসে বাতিল করা ফ্লোর প্রাইসের উপরে। চতুর্থ দিনেই ৯টি কোম্পানির দাম বাতিল করা ফ্লোর প্রাইসের উপরে উঠে আসে। তার চেয়ে বড় কথা, যে কোম্পানিগুলোর লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে, সেগুলোর লাখ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এমনকি একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটির বেশি।

সাধারণের মধ্যে করোনার ভয় যেমন কেটেছে, তার ব্যতিক্রম নয় পুঁজিবাজারও। গত বছর করোনা সংক্রমণের পর কম দামে শেয়ার ছেড়ে দেয়া বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষায় যে ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল, সেটি প্রত্যাহার করলে কী হয়, তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দ্বিতীয় দফায় ৩০টি কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইতিবাচক চিত্র।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ৩ জুন সিদ্ধান্ত জানানোর পর শেয়ারধারীরা ছিলেন আতঙ্কিত। প্রথম কার্যদিবস রোববারই ৩০টি কোম্পানির ২৯টি দর হারায় সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ শতাংশ। পরের দিনও তা-ই হয়।

তবে মঙ্গলবার থেকেই পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। বেশ কয়েকটি কোম্পানি উঠে আসে বাতিল করা ফ্লোর প্রাইসের ওপরে। চতুর্থ দিনেই ৯টি কোম্পানির দাম বাতিল করা ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে আসে।

তার চেয়ে বড় কথা যে কোম্পানিগুলোর লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে, সেগুলোর লাখ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এমনকি একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটির বেশি।

৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের আদেশ আসে ৩ জুন

আগের ৬৬টির মতো এই শেয়ারগুলোও দিনে কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। তবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাকি সব শেয়ারের মতোই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের সীমা থাকবে।

সেই ৬৬ কোম্পানির ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ফ্লোর প্রাইসেও একেবারেই লেনদেন না হওয়া কোম্পানিগুলো মুক্ত হওয়ার পর বিপুল পরিমাণ শেয়ার হাতবদল হতে থাকে।

৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের আদেশ আসে ৭ এপ্রিল

উচ্চমূল্যে কিনে যারা আটকা পড়েছিলেন, তারা কম দামে কিনে সমন্বয় করতে পেরেছেন। কেউ কেউ লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকায় অন্য শেয়ার কিনতে পেরেছেন। অথচ মাসের পর মাস এই শেয়ারগুলোতে আটকে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তখন তারা ফ্লোর প্রত্যাহারের সম্ভাবনা হলেই উৎকণ্ঠিত হতেন।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সিংহভাগ কোম্পানির লেনদেনে একটা বাধা ছিল। সেটি এখন কাটতে শুরু করেছে। শেয়ার হাতবদল বাড়লে তা ইতিবাচক।’

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক প্রধান গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বর্তমানে যে অবস্থা তাতে ফ্লোর প্রাইস খুব বেশি প্রয়োজন নেই। তবে সেহেতু শেয়ারের প্রান্তসীমা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তান্তিক একটি ধারণা তৈরি হয়েছে তাই এখনই সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। আর উঠিয়ে দিলেও শেয়ারের দর পতনের ক্ষেত্রে যে ২ শতাংশ সীমা দেয়া আছে, সেটি রাখা উচিত।’

৩০টির মধ্যে ৯টির দাম এখন ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বঙ্গজের দাম এখন বাতিল করা ফ্লোর প্রাইস ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেশি। সেখান থেকে বুধবার দাম বেড়ে হয় ১২০ টাকা ২০ পয়সা।

লেনদেনও বেড়েছে। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির। মঙ্গলবার হাতবদল হয় মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৭টি শেয়ার। বুধবার হাতবদল হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৬৮৪টি।

অথচ ফ্লোর প্রাইস তোলার আদেশ আসার দিন এর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭২৬টি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে এক দিনেই ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সার বেশিতে হাতবদল হয়েছিল অ্যাপেক্স ট্যানারির দর। ফ্লোর প্রত্যাহারের পর রোববার প্রথম কার্যদিবসেই সেখান থেকে দাম কমে যায় প্রায় ২ শতাংশ। তবে দাম দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা ১০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১০০টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৯৯৫টি।

তবে চমক ছিল জেমিনি সি ফুডসের।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রাইস ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সার ওপরে উঠতে না পারা শেয়ারটি মুক্ত হওয়ার পর দুই কার্যদিবস আরও কমে দাম দাঁড়ায় ১৩৯ টাকা ১০ পয়সা। অথচ তৃতীয় কার্যদিবসেই অবিশ্বাস্যভাবে শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৫৩ টাকা। বুধবার দাম আরও খানিকটা বেড়ে হয় ১৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।

কোনো এক দিনে গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারটির হাতবদলও হয়েছে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার ১ লাখ ৩২ হাজার ৯০৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। অথচ ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিনে হাতবদল হয়েছিল কেবল ৭১৪টি।

বুধবার লেনদেন কিছুটা কমে হয়েছে ৬৬ হাজার ২টি।

ড্যাফোডিল কম্পিউটারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে বুধবার হয়েছে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ২৯ হাজার ৯০টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯টি।

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের দর ফ্লোর প্রাইস ২১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২২ টাকা।

বৃহস্পতিবার ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ৩ হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হাতবদল হয় ১৫ হাজার ৭৭৫টি।

ইস্টার্ন কেবলসের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়ে বুধবার হয়েছে ১৪০ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোর ওঠার আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার লেনদেন বেড়ে হয় ৭৮ হাজার ২১১টি।

স্টাইলক্রাফটের দর ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ১৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। তবে চতুর্থ দিনে দাম ফ্লোর থেকে বেশি দেখা গেছে। লেনদেন হয়েছে ১৪৭ টাকা ৫০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে ২ হাজার ৯৩টি শেয়ার লেনদেন হলেও বুধবার হাতবদল হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৩টি।

আজিজ পাইপের দর ফ্লোর প্রাইস ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে বুধবার হয়েছে ৯৮ টাকা ১০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭১০ শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৯০টি।

ন্যাশনাল পলিমারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫১টি। বুধবার হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৯ হাজার ৮৫৮ টাকা।

প্রায় সবগুলোর বিপুল লেনদেন

এটলাসের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা। রোববার দাম কমে হয় ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা। তবে মঙ্গলবার ফ্লোরের ওপরে ১১০ টাকা ২০ পয়সায় দিন শেষ করে। বুধবার অবশ্য আবার তা কমে হয় ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা।

তবে লেনদেনে দেখা গেছে চমক।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিন দুটি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। বুধবার হাতবদল হয় ৯ হাজার ৭৩০টি।

রেনউইক যগেশ্বরের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯০০ টাকা। তৃতীয় দিনে দাম কমে হয় ৮৪৭ টাকা ২০ পয়সা। তবে বুধবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দাম দাঁড়ায় ৮৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোর ওঠানোর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল আটটি। আর বুধবার হাতবদল হয়েছে ৮ হাজার ২১১টি।

টানা চার দিন ধরে কমছে মুন্নু অ্যাগ্রোর দর। ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২ শতাংশ কমে হয় ৭৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম হয়েছে ৭৩৩ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো শেয়ার হাতবদল না হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩১টি। বুধবার হাতবদল হয় চার হাজার ১৭২টি।

নর্দার্ন জুট কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩২৪ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়ায় ২৯৯ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোর ওঠার আগের দিন লেনদেন ছিল ১৮টি। আর বুধবার লেনদেন হয়েছে ৮৩ হাজার ৪০৬টি।

গত অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাটা ফ্লোর প্রাইস ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়ায় ৬৫২ টাকা ৬০ পয়সা। তবে বুধবার বেড়ে দাম হয় ৬৬৬ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার সময় বৃহস্পতিবার হাতবদল হয় ৭৯৯টি। বুধবার ১৩ হাজার ৬৬৭টি।

ওয়াটা ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০১ টাকা।

বৃহস্পতিবার ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৭০২টি।

অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা হয়েছে।

ফ্লোরের শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটিরও জট খুলেছে। বুধবার হাতবদল হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ২৬৬টি।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের দাম ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস ওঠার আগের দিন বৃহস্পতিবার মাত্র তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হাতবদল হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯টি।

সোনালী পেপারের দাম ২৭৩ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৫২ টাকা।

বৃ্হস্পতিবার ২০টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হয় ২৯ হাজার ৯১৬টি।

কে অ্যান্ড কের ফ্লোর প্রাইস ছিল দর ২০৭ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ১৯৩ টাকা ৭০ পয়সা।

বৃ্হস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ৮৬৯টি। বুধবার হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৪০৮টি।

বিডিঅটোকারের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪৭ টাকা ৩০ পয়সা। দাম কমে হয়েছে ১৩৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হাতবদল হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ১৩৬টি।

সমতা লেদারের দর ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে বুধবার হয়েছে ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে একটি শেয়ার লেনদেন হলেও বুধবার হয়েছে চার হাজার ১৫২টি।

ন্যাশনাল টিউবের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৩ টাকা ১০ পয়সা। দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ১০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১৪১টি শেয়ার হাতবদল হলেও চমক দেখা গেছে বুধবার। এদিন হাতবদল হয় ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৪১৮টি।

ওরিয়ন ইনফিউশনের ফ্লোর প্রাইস ৭২ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৯০।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ১০ হাজার শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার হাতবদল হয়েছে ১২ লাখ ৮৯৩টি।

এসকে ট্রিমসের দর ৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। ফ্লোরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার একটি শেয়ারও লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির বুধবার হাতবদল হয়েছে ১৯ হাজার ৯০৬।

লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা ৩০ পয়সা।

তবে চমক দেখা গেছে লেনদেনে। ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে বুধবার হাতবদল হয় ছয় লাখ ২৯ হাজার ২৭৪টি।

সি পার্লের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭৩ টাকা ২০ পয়সা। আর এই শেয়ারটিতে কোনো আগ্রহও নেই বিনিয়োগকারীদের।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। রোববার হাতবদল হয় ১১টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয় পাঁচটি আর বুধবার সাতটি।

হাক্কানি পাল্পের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৪ টাকা থেকে কমে বুধবার দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৭০ পয়সায়।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হলেও বুধবার বিক্রি হয়েছে সাত লাখ ২৭ হাজার ৪৮৩টি।

কোহিনুর ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে কমে হয়েছে ৪৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির জট খুলেছে। রোববার ৫১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। আর বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ১০০টি।

মুন্নু সিরামিকের দর ১২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১১৭ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭৪ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় ১ হাজার ২৫১টি। তবে বুধবার লেনদেন হয়েছে আট লাখ ২৫ হাজার ৭৮টি।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৮৪ টাকা ১০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ১২০টি শেয়ার। বুধবার লেনদেন হয় এক হাজার ১১৫টি।

এ বিভাগের আরো খবর