চাপ কাটিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও আস্থা বৃদ্ধির আরও একটি নমুনা দেখা গেল বুধবারের লেনদেনে।
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর ৭২ মিনিট পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এক হাজার কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়ে যায়।
দেশের পুঁজিবাজারে এই দৃশ্য কবে দেখা গেছে সেটি অজানা বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
গত রোববার সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের দিন সূচক পড়ে যাওয়ায় মনস্তাত্ত্বিক চাপ ছিল। এ থেকে যে বিনিয়োগকারীরা বের হয়ে এসেছেন, সেটা স্পষ্ট।
এক দিনে এত বেশি শেয়ারের দরবৃদ্ধির প্রবণতাও বিরল। সকাল থেকেই ব্যাংক খাতে চাঙাভাবের কারণে সূচকে দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি।
এই সময়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৬৮ পয়েন্ট।
গতি কেবল লেনদেনেই নয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি শেয়ারের দর বেড়েছে। এক দিনে এত বেশি শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতাও বিরল। সকাল থেকেই ব্যাংক খাতে চাঙাভাবের কারণে সূচকে ছিল ঊর্ধ্বগতি।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা বেশি বেশি শেয়ার কিনছে। তাই বাজার ভালো হচ্ছে। এখন এই ভালো হওয়ার কারণ অনেক।
‘একদিকে বিএসইসি বাজারবান্ধব অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক দিন ফ্লোর প্রাইস আটকে থাকা কোম্পানিগুলো এখন সচল হয়েছে। সরকারও পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করছে। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে।’
তবে প্রধান কারণ হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা। তাদের একেকজনের একেক রকম প্রত্যাশা। কেউ মনে করছেন, যে দাম আছে তার চেয়ে বেশি হবে, তারা শেয়ার কিনছেন। কেউ ভাবছেন, দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন হয় না বা ১০ টাকার নিচে আছে, সেগুলোর দাম বাড়ছে। তারা শেয়ার কিনছেন।
বাজারের এমন উত্থান কতটা যৌক্তিক, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বিনিয়োগকারী নিজের পকেটের টাকায় শেয়ার কিনছেন। ফলে যে ভালো মানের শেয়ার কিনছেন তার এক ধরনের ঝুঁকি, আর যারা খারাপ শেয়ার কিনছেন তার আরেক ধরনের ঝুঁকি। তবে আমি বলব, এমন বাজারে ভালো শেয়ার কিনেই ঝুঁকিমুক্ত থাকা উচিত।’
১ ঘণ্টা ২৩ মিনিটে লেনদেন পৌঁছে ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকায়। সূচক ৬৮ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৯০ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বাড়ে ২৫৬টির, কমে ৮৩টির। দর পাল্টায়নি ২৩টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এই সময়ে সূচক বেড়েছে ১৬৮ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি টাকার।