বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিল্পখাতে গবেষণা বাড়াতে ডিসিসিআই-বুয়েটের সমঝোতা

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ২০:০২

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি শিল্পখাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকুরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

এ লক্ষে সোমবার এই ব্যবসায়ী সংগঠন ও দেশের অন্যতম প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যে ভার্চুয়ালি একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনলাইন প্লাটফর্মে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি শিল্পখাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকুরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, গত ছয় দশক ধরে বিশেষ করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। অন্যদিকে দেশের বৃহৎ অকাঠামোখাতে উন্নয়ন ও পরামর্শ প্রদান এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে বুয়েট সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।

‘এখন আমাদের সামনে দরকার শিল্পখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও প্রয়োজনের নিরিখে যৌথভাবে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা’- বলেন রিজওয়ান রাহমান।

ডিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয় করে ভবিষৎ প্রজন্মকে একটি দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পন্নোত দেশ হিসেবে পরিণত হতে হলে শিল্পখাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি জানান, আগামীতে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ করে শিল্পখাত বিষয়ক গবেষণা আরও বৃদ্ধি করা হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, শিল্পখাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় বাড়ানোর বিকল্প নেই।

সমঝোতা চুক্তিটির যথাযথ বাস্তবায়নে বছরভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন তিনি। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি হারে শিল্পখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।

ভার্চুয়াল এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জাব্বার খান, ফ্যাকাল্টির ডিনবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর