বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামাজিক নিরাপত্তায় আরও বরাদ্দ চায় আইসিএমএবি

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ২২:৪২

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। এ বরাদ্দকে কম বলে মনে করে আইসিএমএবি।

আকার ও ঘাটতি বিবেচনায় আগামী বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য ও সময়োপোযোগী হলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ অপ্রতুল বলে মনে করে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় এক ওয়েবিনারে সংগঠনটি এসব কথা বলেছে।

আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট আবু বকর ছিদ্দিক এফসিএমএ এতে সভাপত্বি করেন। সংগঠেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ এফসিএমএ-এর সঞ্চালনায় অপর ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুল ইসলাম এফসিএমএ, সচিব কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং কোষাধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান এফসিএমএ সহ অন্যারা এতে অংশ নেন।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি বলেছে, ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার একটি সময়োপযোগী বাজেট। ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ৫.৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা এবং ৬ দশমিক ২০ শতাংশ ঘাটতি বিচেনায়ও বাজেট ইতিবাচক। কারণ, অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে এখন ধার করে হলেও সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। এ বরাদ্দকে কম বলে মনে করে আইসিএমএবি।

সংগঠনের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘যতদিন করোনা মহামারি দেশে থাকবে, ততদিন বিনিয়োগে গতি আসবে না, কর্মসংস্থানও বাড়বে না। কাজেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ৮০ শতাংশ মানুষকে যে কোন মূল্যে টিকা দিতে হবে।

‘কারণ, করোনা নির্মূল করাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এ মহামারিতে সাধারণ ছুটি, লকডাউন, উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গেছে। কিন্তু এসব বিবেচনায় সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ অপ্রতুল। তাই এ খাতে আরও বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।’

আইসিএমএবি বলছে, দেশের বিদ্যমান ভ্যাট আইন এবং আয়কর আইনে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অগ্রিম করের ক্ষেত্রেও কিছুটা যৌক্তিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে।

সরবরাহ পর্যায়ে উৎস কর সর্বাধিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে বাড়ানো সমচীন নয়। প্রকৃত ব্যবসাবান্ধব কর বাস্তবায়ন বিবেচনায় এই যৌক্তিকীকরণ খুব বেশি প্রয়োজন।

তবে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার হ্রাস, তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়- দুই ধরনের কোম্পানির করহার ২.৫০ শতাংশ কমানো ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো।

এমএফএস সেবা ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিম্নবিত্তের মানুষই বেশি উল্লেখ করে এই খাতে কর বাড়ানোর বিরোধিতা করছে আইসিএমএবি।

তারা বলছে, কর বাড়ালে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশনে বাধা হয়ে যাবে। যা সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনের জন্যই একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। বরং, করোনা বিবেচনায় গ্রাহককে আরও বেশি এমএফএস সেবার প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এ খাতে কর কামনো উচিত।

আইসিএমএবি বলছে, মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অটোমোবাইল-থ্রি হুইলার এবং ফোর হুইলার উৎপাদনকারী কোম্পানির সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেশে শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদন ত্বরান্বিত হবে।

বড় শহরের বাইরে ২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল ও ন্যনতম ২০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে কর অব্যাহতি ইতিবাচক। তবে শয্যা সংখ্যার যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর