বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার বছরে চায়ের উৎপাদন দেড়গুণ চায় সরকার

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ২২:৩৫

‘বর্তমানে চায়ের উৎপাদন তুলনামূলক কম হলেও আমাদের চা উৎপাদন বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন চা হবে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য।’

২০২৫ সালের মধ্যে চায়ের উৎপাদন বছরে ১৪ কোটি কেজি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে উৎপাদন আরও বাড়াতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার ‘বাংলাদেশের চা শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে রাখা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘প্রথম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় জুম প্লাটফর্মে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে চায়ের ভোগ বাড়ছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বাড়ছে। আবার বিদেশেও বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত চা তেমন রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এ কারণে আমাদের চায়ের উৎপাদন বাড়িয়েই রপ্তানি বাড়াতে হবে।

‘এ লক্ষ্যে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ১৪ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার। রোডম্যাপ অনুযায়ী উৎপাদন বাড়ানোর দায়িত্ব উদ্যোক্তাদেরই নিতে হবে। আর সরকারি সেখানে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, পঞ্চগড় টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক সহ চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে চায়ের উৎপাদন তুলনামূলক কম হলেও আমাদের চা উৎপাদন বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন চা হবে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য।’

তিনি জানান, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চায়ের সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা হবে ১২ কোটি ৯০ লাখ কেজি। তা সত্ত্বেও রোপম্যাপ অনুযায়ী উৎপাদন বাড়লে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও অতিরিক্ত ১ কোটি ১০ লাখ কেজি চা রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ আছে। তিনি চা শিল্পের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্তমান সরকারও বঙ্গবন্ধুর সেই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় চায়ের ন্যায্যমূল নিশ্চিত এবং শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায়কাজ করে যাচ্ছে।’

নতুন চায়ের বাগান বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যথাযথ বাজারজাত নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান জানান, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্বের ২২টি দেশে মোট ২১ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা রপ্তানি করেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৬০ শতাংশ বেশি।

উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে আশাব্যাঞ্জক সারা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দিন দিন চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালালে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন সম্ভব বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর