বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বৈষম্যের উত্থানে’ শঙ্কিত আবু আহমেদ

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৮:৪৩

‘পুঁজিবাজারে এখন বৈষম্যমূলক লেনদেন হচ্ছে। যখন বিমার শেয়ার দর বাড়ে, তখন শুধু বিমা খাতের শেয়ারের দরই বাড়ছে। যখন ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ে, তখন ব্যাংকের প্রাধান্য থাকে। এভাবে শুধু নির্দিষ্ট খাতের লেনদেন দিয়ে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।’

বিমা খাতের ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে যে উত্থান ঘটেছে, সেটাকে অযৌক্তিক হিসেবেই দেখছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ।

কোনো এক দিন একটি খাতের সব শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও শঙ্কায় তিনি। বলেছেন, এভাবে পুঁজিবাজারের স্বাস্থ্য ভালো হতে পারে না।

গত সপ্তাহে সোয়া তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যাওয়ার পরের সপ্তাহে লেনদেন সর্বকালের সবচেয়ে বেশি উচ্চতার কাছাকাছি। তবু পুঁজিবাজারে স্বস্তি নেই।

ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ানোর পর পুঁজিবাজারে যেন যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে আবার সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেনের দিন বিক্রয় চাপ।

পুঁজিবাজারে সূচক কমার দিন বিক্রয় চাপ বাড়াকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখা হয়।

আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বৈষম্যমূলক লেনদেন হচ্ছে। যখন বিমার শেয়ার দর বাড়ে, তখন শুধু বিমা খাতের শেয়ারের দরই বাড়ছে। যখন ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ে, তখন ব্যাংকের প্রাধান্য থাকে। এভাবে শুধু নির্দিষ্ট খাতের লেনদেন দিয়ে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘যখন এমন অবস্থায় উপনীত হয়, তখন পুঁজিবাজারই বিনিয়োগকারীদের শাস্তি প্রদান করে। বিশ্বের সব দেশের পুঁজিবাজারে এ অবস্থা দেখা যায়।

‘যখন বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিবেচনা না করে শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে শেয়ার লেনদেন করে, তখনই পুঁজিবাজারে এ ধরনের অবস্থা দেখা যায়।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যখন সূচক বাড়তে থাকে, লেনদেন বাড়তে থাকে, তখন বিনিয়োকারীরা একটি মোহের মধ্যে ডুবে যায়। তারা তখন কোন কোম্পানির ভালো কোন কোম্পানি খারাপ, সেটি বিবেচনা করে না।

‘বিমার যে কোম্পানি এক টাকা মুনাফা ঘোষণা করে প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করল, সেই কোম্পানির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ল, যে কোম্পানি কয়েক পয়সা আয় করল আর সেই কোম্পানির শেয়ার দর ক্রমাগত কয়েক দিন ধরে শুধু বাড়ল। পুঁজিবাজারে এখন সেটিই হচ্ছে।’

মৌলভিত্তি দেখে শেয়ার কেনার পরামর্শ

যখন যে খাতের শেয়ারের দাম বাড়ে, তখন সেই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রবণতা আছে বিনিয়োগকারীদের। এই প্রবণতাকে ক্ষতিকর বলছেন আবু আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা এখন যেভাবে হুমড়ি খেয়ে অনেক বেশি দরে শেয়ার কিনছেন, তা ঠিক হচ্ছে না। কোম্পানি বিবেচনায় শেয়ার কেনা উচিত। ফান্ডামেন্টাল কোম্পানি দেখে শেয়ার কেনা উচিত।’

পুঁজিবাজারে বহু কোম্পানি উচ্চহারে লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তারা যে পরিমাণ আয় করে তার তুলনায় এসব কোম্পানির উত্থান নেই বললেই চলে, এটা হতে পারে না।

আবু আহমেদ বলেন, ‘এভাবে পুঁজিবাজার চললে পুঁজিবাজারই বিনিয়োগকারীদের শাস্তি দেবে। দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার দেখছি, এমনটিই হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর