কৃষ্ণসাগরের তলদেশে নতুন করে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে তুরস্ক।
এ নিয়ে অঞ্চলটিতে তুরস্কের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার কোটি ঘনমিটারে।
টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরের পশ্চিমে তুরস্কের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র সাকারিয়ার দুটি এলাকায় তেল-গ্যাসের সন্ধানে চলছে অভিযান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার এক ঘোষণায় বলেন, সামনের দিনগুলোতে আরও কিছু ‘সুসংবাদ’ আসতে পারে।
গত বছর সাড়ে ৪০ হাজার কোটি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মেলে একই অঞ্চলে।
২০২৩ সালে সাকারিয়া থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরুর কথা রয়েছে।
জ্বালানি খাতে সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর তুরস্ক। ২০১৯ সালে জ্বালানি আমদানিতে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে দেশটি। রাশিয়া ও আজারবাইজানসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে গ্যাস কেনার ফলে অনেক বছর ধরে তুরস্কে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি চলছে।
এ অবস্থায় অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কৃষ্ণ ও ভূমধ্যসাগরে হাইড্রোকার্বনের সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালিয়ে আসছিল।
গ্রিস ও গ্রিস নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের বিতর্কিত জলসীমাতেও জরিপ চালানো হয়, যা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে।
গত বছরের জুলাই থেকে কৃষ্ণসাগরে তুরস্কের পশ্চিম উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে খনিজ সম্পদের সন্ধানে অভিযান শুরু করে ড্রিলিং জাহাজ ফাতিহ।
আগস্টে ৩২ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাসের সন্ধান মেলে। অক্টোবরে আবিষ্কৃত হয় আরও সাড়ে ৮ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাস।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার প্রধান ফাতিহ বিরল সে সময় জানান, তুরস্কের আবিষ্কৃত ওই গ্যাসের বাজারমূল্য প্রায় আট হাজার কোটি ডলার।
বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন শুরু হলে আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে তুরস্কের।
উপকূলের ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মিটার গভীরে চলবে খনন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিপুল গ্যাসের মজুত থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে ঢোকার উপযোগিতা অর্জনে অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে তুরস্ককে। এর ফলে খরচ বাড়বে প্রচুর।