বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২০:১১

রেনউইক যগেশ্বর, মুন্নু এগ্রো, বাটা শু, কোহিনুর ক্যামিকেল, নর্দার্ন জুট, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালী পেপার, এপেক্স ফুটওয়্যার, কে অ্যান্ড কিউ, বিডিঅটোকার, স্টাইলক্রাফট, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন কেবল, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটওয়্যার, মুন্নু সিরামিক, বঙ্গজ, সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল, এটলাস, এপেক্স ট্যানারি, সমতা লেদার, ন্যাশনাল টিউব, আজিজ পাইপ, সিপার্ল, হাক্কানি পাল্প, ওরিয়ন ইনফিউশন, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, এসকেট্রিমস, ন্যাশনাল পলিমার, ডেফোডিল কম্পিউটার।

৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্য প্রত্যাহারের দুই মাসের মধ্যে আরও ৩০টি কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি।

রোববার থেকে এসব শেয়ারের কোনো সর্বনিম্ন মূল্য থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাজেট পেশের দিন বৃহসপতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব কোম্পানির দাম এক দিনে সর্বনিম্ন কমতে পারবে দুই শতাংশ। আর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি, এই ৩০টি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। এ জন্য এই ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে।’

এখন পর্যন্ত মোট ৯৬টি কোম্পানির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। বাকিগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত আসবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাকি যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর লেনদেন হচ্ছে। যদি ফ্লোর প্রাইসে কোনো কোম্পানির শেয়ার আটকে থাকে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে ৩০ থেকে ৩২টির ফ্লোর প্রাইস যে প্রত্যাহার হচ্ছে, সেটি বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বুধবারই জানান নিউজবাংলাকে। এ নিয়ে প্রতিবেদনও তৈরি করা হয় সেদিন।

তিনি জানান, ফ্লোর প্রাইস থাকবে না কোনো কোম্পানির। তবে একসঙ্গে তুলে নিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, এ কারণে ধাপে ধাপেই তুলে নেয়া হবে।

যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হলো

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানিগুলো একদিন পড়ে ছিল। লেনদেন হচ্ছিল না। যে বাটা শু এ বছর বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছে। কিন্তু এর ফ্লোর প্রাইস অনেক বেশি ধরা হয়েছে। এই দামে কেউ শেয়ার কিনতে রাজি হচ্ছিল না। আবার যারা উচ্চমূল্যে কিনেছে, তারাও কম দামে কিনে সমন্বয় করতে পারছিল না। এখন দাম কমলে তারা সেটা কিনতে আগ্রহী হতে পারেন।’

যেসব কোম্পানির ফ্লোর উঠে গেল

রেনউইক যগেশ্বর, মুন্নু এগ্রো, বাটা শু, কোহিনুর ক্যামিকেল, নর্দার্ন জুট, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালী পেপার, এপেক্স ফুটওয়্যার, কে অ্যান্ড কিউ, বিডিঅটোকার, স্টাইলক্রাফট, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন কেবল;

এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটওয়্যার, মুন্নু সিরামিক, বঙ্গজ, সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল, এটলাস, এপেক্স ট্যানারি, সমতা লেদার, ন্যাশনাল টিউব, আজিজ পাইপ, সিপার্ল, হাক্কানি পাল্প, ওরিয়ন ইনফিউশন, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, এসকেট্রিমস, ন্যাশনাল পলিমার, ডেফোডিল কম্পিউটার।

ফ্লোর প্রাইস যেভাবে এলো

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর শেয়ার দরে ধস ঠেকাতে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়া হয়।

শেয়ারের মৌলভিত্তি বা মুনাফা বিবেচনা না করে কেবল পাঁচ দিনের বাজার দরের ওপর ভিত্তি করে এই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু কোনো একটি সময়ে একটি শেয়ারের দাম বেড়ে যেতে পারে। এটি কারসাজির কারণেও হতে পারে। সে সময়ও কিছু শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে যায়। যে কারণে পরে এই সর্বনিম্ন মূল্যেও শেয়ার কিনতে রাজি হচ্ছিল না বিনিয়োগকারীরা।

আগের ৬৬ কোম্পানির মতোই এই ৩৩ কোম্পানির শেয়ার মূল্যও একদিন সর্বোচ্চ দুই শাতংশ কমতে পারবে

ফলে ফ্লোর প্রাইসেও বিপুল সংখ্যক শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না। আর এই অবস্থায় বাজার সচল করতে গত ৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।

পরদিন সব শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের মধ্যে বিএসইসি জানায় ফ্লোর প্রত্যাহার করা কোম্পানির দাম সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমতে পারবে। তবে বাজারে একদিন দাম কমতে পারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।

ফ্লোর প্রত্যাহারের পর এসব কোম্পানির শেয়ার মূল্য শুরুতে ব্যাপকহারে কমে আসলেও পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এই ৬৬ কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত, একটি পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় না বললেই চলে। আর বাকি কোম্পানির মধ্যে প্রায় অর্ধেকের দাম এখন প্রত্যাহার করা ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি।

প্রথম ধাপে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ৬৬ কোম্পানি

যেগুলোর দাম এখন প্রত্যাহার করা ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে কম, সেগুলোর একটি বড় অংশ এক দিনেই আগের ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যেতে পারবে।

কেবল দামের ক্ষেত্রে নয়, ফ্লোর প্রাইসে যেসব শেয়ারের লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে, সেগুলো এখন বেশ বড় পরিমাণেই হাতবদল হচ্ছে। এটিও পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ার একটি কারণ।

এ বিভাগের আরো খবর