বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরিষার আড়ালে পপিবীজ, কাস্টমসে ধরা

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ১১:৫৭

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, একই রকম লেখা ও একই রঙের বস্তায় কনটেইনারের সামনের অংশে ছিল সরিষা ও পেছনের দিকে পপিবীজ। ৫৪ টনের মধ্যে সরিষাবীজ ১২ টন আর বাকি ৪২ টনই পপিবীজ।

মালয়েশিয়া থেকে কনটেইনারে সরিষাবীজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ পপিবীজ আমদানি করেছে পুরান ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমিন ট্রেড সেন্টার।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল মালয়েশিয়া থেকে দুই কনটেইনারে ৫৪ টন সরিষাবীজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এগুলো আমদানি করেছে পুরান ঢাকার আজমিন ট্রেড সেন্টার। তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পণ্য খালাসের জন্য বিল দাখিল করে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৭ টাকা শুল্কও পরিশোধ করে।

নিয়মানুযায়ী শুল্ক পরিশোধ করার পর সেই সরিষাবীজের কনটেইনার দুটি খালাস শুরু করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

কিন্তু ২২ এপ্রিল গোপন সূত্রে কাস্টমস জানতে পারে সরিষা নয়, কনটেইনারে আছে আফিম তৈরির কাঁচামাল পপিবীজ।

কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এআইআর) সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, পরীক্ষা শুরু করে দেখা যায়, একই রকম লেখা ও একই রঙের বস্তায় কনটেইনারের সামনের অংশে সরিষাবীজ ও পেছনের দিকে ছিল পপিবীজ। ৫৪ টনের মধ্যে সরিষাবীজ ১২ টন আর বাকি ৪২ টনই পপিবীজ।

এগুলোর নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে পাঠানো হলে পরীক্ষা করে এগুলোকে পপিবীজ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫৪ টন সরিষার মূল্য ২২ লাখ টাকা ও ৪২ টন পপিবীজের মূল্য ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি সরিষা দেখিয়ে এলসির মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।

পপিবীজের বাকি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে পরিশোধ করেছে বলে ধারণা করছে কাস্টমস।

নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

এ বিভাগের আরো খবর