অনানুষ্ঠানিক মূলধন বা তহবিলকে আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসে সেগুলোকে মূল অর্থনীতিতে যুক্ত করতে প্রণীত কৌশলপত্রের বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আনা খসড়ায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা ছিলেন সচিবালয়ে।
এদিন বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৪ সালে অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের আমরা সম্মুখসারির সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছি। ২০১৬ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে খসড়া করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।’
রূপকল্প ২০২১ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একটা মডেল হিসেবে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আর্থিক সেবাপ্রদানকারী ব্যাংক ও অ-ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা ও ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবাপ্রদানকারী এজেন্সিসহ যত প্রতিষ্ঠান আছে তারা প্রযুক্তি নির্ভর গ্রাহক সেবাপ্রদান করে আর্থিক কার্যক্রম চালিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে, আমাদের অনানুষ্ঠানিক যে ফান্ডগুলো আছে, ক্যাপিটালটা আছে সেটাকে ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে, ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে অর্থনীতির মধ্যে চালিত করা। এখনও ব্যাপক সংখ্যক লোক, তারা আমাদের ফরমাল বা ইনস্টিটিউটশান ফাইনান্সিয়াল অ্যাক্টিভিটিজের মধ্যে নাই। কৌশল যদি আমরা বাস্তবায়ন করি অনানুষ্ঠানিক ফান্ডগুলোকে জনগণের কাছ থেকে নিয়ে এসে আমাদের মূল অর্থনীতিতে ইনক্লুড করতে পারব।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘একমাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সার্কুলার দিয়েছে যে, যারা মোবাইল ব্যাংকিং করেন যেমন নগদ, বিকাশ, রকেট- তারা কিন্তু যে টাকাটা কালেকশন করবে এটা তারা ইনভেস্ট করতে পারবে না কোথাও। এটা শুধু গ্রাহকদের কাজে, তাদের ট্রানজেকশনের মধ্যে ইউজ করতে পারবে। কিন্তু ব্যাংকে যেটা হয়, তারা তাদের ডিপোজিট থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করে। কিন্তু এখানে বলে দেয়া হয়েছে, শুধু গ্রাহকদের কাজে ব্যবহার হবে। ফলে টাকাটা আর পাচার হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন অনুমোদন
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিব বলেন, ১৯৮৩ সালের একটা অধ্যাদেশ ছিল। সেটা নতুন আইনে রূপ দেয়া হচ্ছে।
এই আইনটিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘হালকা কিছু অ্যামেন্ডমেন্ট নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোটামুটি একই আছে।’
বতসওয়ানার সঙ্গে ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা
কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা বিনা ভিসায় বতসওয়ানায় প্রবেশ সুবিধা পায় সেলক্ষ্যে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বতসওয়ানার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীরা যাতে ভিসা ছাড়া যেতে পারে সেই চুক্তি হচ্ছে।