বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ মাসে টিসিবির পণ্য পেয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ পরিবার

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ২০:২৫

২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ১৫ মাসে টিসিবি এসব পরিবারের কাছে মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৪ টন পণ্য বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ছিল সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু ও খেজুর।

সাশ্রয়ী দামে ১৫ মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পেয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৬টি পরিবার।

২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালে মে পর্যন্ত ১৫ মাসে টিসিবি এসব পরিবারের কাছে মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৪ টন পণ্য বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ছিল সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু ও খেজুর। সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পেয়ে সরাসরি উপকৃত হয়েছে দেশের ১৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত দুটি রমজান এই করোনাকালীন লকডাউন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দামও মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। যার ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে টিম কমার্সের উদ্যোগ, প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার কারণেই এ সময়ে দেশে বাজার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, গত এক বছরে বিশেষ করে রমজান মাসে ভোজ্যতেল ছাড়া অন্য সব পণ্যের বাজারদর স্থিতিশীল ছিল।

এতে দাবি করা হয়, শুধু ভোজ্যতেলের বাজারদর এ সময় বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ২০২০-এর জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশেও এর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে দাম বেড়েছে, স্থানীয় বাজারে দাম সেই হারে বাড়েনি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম যেখানে কেজিপ্রতি ৫২ দশমিক ১১ টাকা ছিল, বর্তমানে তার দাম ১৩৫ দশমিক ৮৪ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে সয়াবিন তেলের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬০ শতাংশ।

অথচ এই সময়ে স্থানীয় বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক বছর আগে খোলা সয়াবিন তেলের বাজারদর ছিল ৮৮ থেকে ৯৩ টাকা। সেখানে বর্তমানে তা ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে, অর্থাৎ এই সময়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং কার্যক্রম, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা অব্যাহত রাখার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারদর যে হারে বেড়েছে, স্থানীয় বাজারদর সেই তুলনায় অনেক কম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি টিসিবি ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর