বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক জেলাতেই ১৫০০ কোটি টাকার আম

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৯:৪৭

‘সাপাহার উপজেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হতে যাচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হলে আম সংরক্ষণ করা যাবে। তখন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হবেন।’

নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়তে শুরু করেছেন চাষিরা। এর মধ্য দিয়ে জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আম পাড়া উৎসব।

সাপাহার উপজেলায় একটি বাগানে মঙ্গলবার বিকেলে আম পাড়ার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় চলতি মৌসুমে দেড় হাজার কোটি টাকার আম কেনাবেচার আশা করেন তিনি।

আম পাড়া উদ্বোধন উপলক্ষে সাপাহার উপজেলা সদরে আমচাষি ও বিপণনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা হয়।

জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী ২০ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার কথা ছিল। কিন্তু আম না পাকায় সেই সময় পিছিয়ে ২৫ মে করা হয়।

গোডাউন পাড়া এলাকায় একটি বাগানে মঙ্গলবার বিকেলে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম পাড়া উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়াসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আমচাষি ও বিপণনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠানে আম বাজারজাতকরণে হয়রানি, যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন সাপাহার উপজেলা আমচাষি সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান।

সাপাহার উপজেলা আম আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ‘সাপাহার উপজেলার মোকামে প্রতিবছর কয়েক শ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয়ে থাকে।

‘নওগাঁর আম স্বাদে ও গুণে উন্নত মানের। বিশেষ করে এই অঞ্চলের আম্রপালি ও ল্যাংড়া খুবই সুস্বাদু। অথচ এখনকার আম বিভিন্ন বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আম বলে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ আমের ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এই জেলা পিছিয়ে রয়েছে।’

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘নওগাঁর আমের ব্র্যান্ডিং করার জন্য গত বছর সুন্দর সুন্দর স্লোগান তৈরি করা হয়েছিল। এ বছরও সুন্দর সুন্দর স্লোগান তৈরি করা প্রয়োজন।

‘আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানি শিকার না হন, সে ব্যাপারে পুলিশ সব সময় সচেষ্ট থাকবে। এ ছাড়া আম ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যাতে পরিবহন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি না হয়, সে ক্ষেত্রেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।’

জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমকে কেন্দ্র করে চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ওপরে বাণিজ্য হওয়ার আশা করা যাচ্ছে।

‘আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন, সে ক্ষেত্রে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আমের মোকামগুলোকে কেন্দ্র করে যানজটের যে সমস্যা তৈরি হয়, সেটা দূর করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।

‘সাপাহার উপজেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হতে যাচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হলে আম সংরক্ষণ করা যাবে। তখন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হবেন।

‘আম ব্যবসায়ীরা যাতে সহজ শর্তে ঋণ পান এবং ভরা মৌসুমে অধিক সময় পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর থেকে পাওয়া যাবে ১৪ টন আম। সে হিসাবে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার টন।

এ বিভাগের আরো খবর