এক ব্যাংকে অন্য ব্যাংকের চেক জমা দিতে গ্রাহকদের বাড়তি সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। লকডাউন শিথিল করার পর ব্যাংকিং সময় বাড়ানোর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে এই বিষয়টি জানানো হয়।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
এতে জানানো হয়, ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য দুপুর ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এসব চেক দেড়টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
এত দিন পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে পাঠাতে হতো।
যেকোনো নিয়মিত চেক দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউসে পাঠাতে হবে। এসব চেক বেলা তিনটার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
আগে বলা হয়েছিল, রেগুলার চেক দুপুর ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউসে পাঠাতে হবে। এসব চেক বেলা আড়াইটার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
গত ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সময় কমানো হয়। ৫ থেকে ১২ এপ্রিল লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা। পরে অবশ্য সময় বাড়ানো হয়।
পরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলার আদেশ জারি করা হয়। এরপর আজ জানানো হয়, লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
সার্কুলারে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস, স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর (বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন)- এই তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
আরটিজিএসের লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক সেবা আগের নিয়মে চলবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।