পুঁজিবাজারের লেনদেন আধা ঘণ্টা বেড়ে এখন চলবে বেলা দুইটা পর্যন্ত। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি রোববার এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছে। সোমবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
আগে লেনদেন হচ্ছিল সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।
চলমান লকডাউনে বাংলাদেশ ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে রোববার এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই বিধিনিষেধ চলবে ৩০ মে পর্যন্ত।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম আগের সময়ের চেয়ে আধা ঘণ্টা বৃদ্ধি করে নির্দেশনা জারি করে। বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে ব্যাংকের কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
এর আগে লকডাউনে ব্যাংকের লেনদেন পরিচালিত হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।
পুঁজিবাজারের লেনদেনও ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হবে- এমন সিদ্ধান্ত ছিল বিএসইসির। তাই ব্যাংকের কার্যক্রম আধা ঘণ্টা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুঁজিবাজারের লেনদেনও আধা ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল সরকারের প্রথম লকডাউন ঘোষণার পর পুঁজিবাজারের লেনদেন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই চলেছে লেনদেন।
পরে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করলে তখন ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়সীমা বাড়ানো হয় আধা ঘণ্টা, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
সর্বশেষ ৬ এপ্রিল থেকে সে সময়সীমা বৃদ্ধি করে বেলা দেড়টা পর্যন্ত করা হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ব্যাংকিং সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে আড়াই পর্যন্ত নির্ধারণ করার পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে।
উল্লিখিত সময়ে লেনদেন চলাকালে প্রি-ওপেনিং সেশন পৌনে ১০টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং পোস্ট ক্লোজিং সেশন ২টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত চালু থাকবে।