বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বর্ণের দাম বাড়ল ভরিতে ২ হাজার টাকা

  •    
  • ২২ মে, ২০২১ ১৯:৪৯

রোববার থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকায় বিক্রি হবে। ২১  ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ৬১ হাজার ৫৮৬ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হবে ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা।

স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল। ১২ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৪১ টাকা বাড়ছে।

রোববার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকায় বিক্রি হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার আগারওয়ালা শনিবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে সব ধরনের গোল্ডের দাম প্রতি গ্রামে ১৭৫ টাকা (ভরিতে ২ হাজার ৪১ টাকা) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আগারওয়ালা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই গোল্ডের বাজার ওঠা নামা করছে। গত এক বছরে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্বর্ণের সবচেয়ে বেশি দর উঠেছিল ২ হাজার ৬৩ ডলার। আর সর্বনিম্ন দাম নেমেছিল ১ হাজার ৬৮২ ডলারে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮২ ডলার।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ২০০ ডলারের মতো বেড়েছে।

‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়েই আমাদের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে’-বলেন আগারওয়ালা।

এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ব্যাগেজ রুলে স্বর্ণ না আসায় দাম বৃদ্ধির আরেকটি কারণ বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১০ মে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।

আগারওয়ালা জানান, রোববার থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ৬১ হাজার ৫৮৬ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হবে ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা।

শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৭১ হাজার ৪৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৬৮ হাজার ২৯২ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের দর ছিল ৫৯ হাজার ৫৪৪ টাকায়।

আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ দাম ৪৯ হাজার ২৬৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গত বছরের অগাস্ট মাসে দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্থানীয় বাজারেও স্বর্ণের দাম উঠানামা করেছে।

শনিবার রাত ৭ ২০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) স্পট গোল্ডের দাম ছিল এক হাজার ৮৮২ দশমিক ২৫ ডলার।

দেশে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হবে রুপার গহনা।

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বর্ণের মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।

তখন থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।

আগারওয়ালা বলেন, ‘আজ দুপুরে বাজুসের পরিচালনা পর্ষদের সভায় স্বর্ণের দর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আগে জানাজানি হয়ে গেলে সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিক্রি বন্ধ করে দেয়। সে কারণে আমরা রাত ৯টার পর দাম বাড়ানো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জানানো হবে।’

রাতে বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা এবং নানা ধরনের দাপ্তরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না।

এ ছাড়া, চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ন বা পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর