চীনের ক্রিপ্টো কারেন্সিভিত্তিক লেনদেনে নতুন করে সতর্কতা আরোপের পর বড় পতনের মধ্যে দিয়ে সপ্তাহ শেষ করেছে বিটকয়েন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মুদ্রার মূল্য শুক্রবার ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৬ ডলারে। অবশ্য এটি সপ্তাহ শুরুর চেয়ে কিছুটা বেশি।
১৯ মে চীন ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথা জানালে প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য কমে ৩০ হাজার ডলারে নেমেছিল।
তার আগে ১৪ মে প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ছিল ৪৯ হাজার ১০০ ডলার।
ক্রিপ্টোকারেন্সির দর সবচেয়ে কমে আসে যখন চীনের স্টেট কাউন্সিল বিটকয়েন মাইনিং ও বিক্রি কমানোর আহ্বান জানায়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্যাক্স নিতে চাইলে এর বাজার কিছুটা বাড়ে। আর দুই বিপরীত অবস্থায় পুরো সপ্তাহজুড়েই চলে বিটকয়েনের বাজার অস্থিরতা।
ইলন মাস্ক বিটকয়েন নিয়ে মন্তব্য করায় ও তার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উদ্যোগে ক্রিপ্টোকারেন্সির নেতিবাচক অবস্থান তুলে ধরার পর বিটকয়েনে আস্থা রাখা ব্যক্তিরাও ধোঁয়াশায় পড়েছেন।
এই অবস্থায় ১৪ মের পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার বিটকয়েনের মূল্য কমে গেছে ২৫ শতাংশ।
একই সঙ্গে কমে গেছে অন্য ডিজিটাল মুদ্রার দামও। সেগুলো আগের সপ্তাহের চেয়ে অন্তত ৩৮ শতাংশ দাম পড়ে গেছে।
টেসলাপ্রধান ইলন মাস্ক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিল তার প্রতিষ্ঠান গাড়ি কেনাবেচায় ক্রিপ্টোকারেন্সি নেবে। এরপর হু হু করে বাড়তে থাকে বিটকয়েনসহ অন্য সব ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম।
কিন্তু মঙ্গলবার চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতি দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে সতর্ক করে দেয়। এরপর দর কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলে তারা ১০ হাজার ডলার বা তার বেশি ট্যাক্স নেবে বিটকয়েনে। এতে বৃহস্পতিবার কিছুটা বেড়ে যায় দর।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বেশ খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে গত দুই বছর থেকে। সেদিক থেকে এখনই বলা যাচ্ছে না, সামনের দিনগুলোতে বিটকয়েন বা অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির দরে বড় পতন নাকি উত্থান হবে।