এক মাসে দাম বেড়ে দেড়গুণ। ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। কিন্তু বছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব হতাশই করতে পারবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ার এনআরবিসির বিনিয়োগকারীদের।
গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৪৪ পয়সা। এটি গত বছরের একই সময়ে তুলনায় দেড় গুণ সত্য, তবে এর চেয়ে অনেক বেশি আয় করা ব্যাংকের শেয়ার দর এই ব্যাংকের অর্ধেকের কাছাকাছি।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এনআরবিসি আয় করে ২৮ পয়সা।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে এই প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করা হয়।
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক যে উত্থান দেখা গেছে, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে প্রথম পাঁচ কার্যদিবসে ৮০ পয়সা বেড়ে ১২ টাকা ৪০ পয়সায় পৌঁছে দাম। এরপর অবিশ্বাস্য উত্থান হয় দামে। গত এক দশকেও কোনো ব্যাংকের দাম এত দ্রুত এই পরিমাণ বাড়তে দেখা যায়নি।
৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত আট কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ার মূল্য বাড়ে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। প্রতিদিনই মূল্যবৃদ্ধির ১০ শতাংশের প্রান্তসীমা ছুঁয়ে বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।
এমনটি টানা নবম দিনও দাম সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে ২৮ টাকা ৪০ পয়সায় গিয়ে ঠেকে। পরে কিছুটা কমে ২৮ টাকা ১০ পয়সায় গিয়ে দিন শেষ করে।
নয় কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ার মূল্য বাড়ে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ১২৬ শতাংশ।
প্রান্তিক ঘোষণার দিনও সকালে দাম বেড়ে ৩০ টাকা ৩০ পয়সায় পৌঁছে যায়। পরে অবশ্য আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়সা কমে ২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকটির মূল্য আয় অনুপাত বা পি রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৫.৯। অর্থাৎ এই পরিমাণ আয় করতে গেলে প্রায় ১৬ বছরে বিনিয়োগকারীরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন।
তবে ২০২০ সালের আয়ের ভিত্তিতে এটি ১১.৮১ শতাংশ ছিল।
পুঁজিবাজারে এমন ব্যাংকও আছে যার মূল্য আয় অনুপাত পাঁচ এর নিচে।
যমুনা ব্যাংকের পি রেশিও ৩.৬, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৩.০৬, ওয়ান ব্যাংকের ৩.৫৭, ব্যাংক এশিয়ার ৪.১৭, প্রাইম ব্যাংকের পি রেশিও ৪.৫, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৪.৮৮।
এ ছাড় প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫.১১, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬.৬, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৬.৬৬, সিটি ব্যাংকের ৬.৭১, আইএফআইসি ব্যাংকের ৬.৯৬, এনসিসি ব্যাংকের ৭.৭, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৭.৯২, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৮.৫২।