ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআইর) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন।
বুধবার রাতে এফবিসিসিআইর উদ্যোগে ভার্চুয়ালি ২০২১-২৩ মেয়াদের নতুন পর্ষদের সভাপতি জসিম উদ্দিনের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেন বিদায়ী ২০১৯-২১ কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
দায়িত্ব পেয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সময়টি চ্যালেঞ্জিং হলেও দায়িত্ব পালনকালে আমি ব্যবসায়ীদের প্রতাশা পূরণে কাজ করব। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে বর্তমান সরকারের যেসব লক্ষ্য রয়েছে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে তা বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব।’
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেইন, আবদুল মাতলুব আহমাদ, সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
নতুন পর্ষদের নির্বাচিত সিনিয়র সহসভাপতি, ছয় সহসভাপতি এবং অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপ থেকে নির্বাচিত পরিচালকসহ বিদায়ী পর্ষদের সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পা রাখার জন্য পরিকল্পিত ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়াও এফবিসিসিআইর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেত চাই।
‘চাই এফবিসিসিআইকে জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। জোর দিতে চাই গবেষণা উন্নয়নে। প্রণোদনা প্যাকেজের বাকি অংশ বাস্তবায়ন এবং এফবিসিসিআইর মৌলিক সংস্কারে বিদায়ী কমিটির রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজও চাই সম্পন্ন করতে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার তার লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়লে দেশের অগ্রগতি দ্রুত হয়। আশি আশা করব, জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নতুন পর্ষদ বেসরকারি খাতকে নিয়ে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’
এ সময় তিনি বিদায়ী সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমসহ তার পর্ষদেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সালমান এফ রহমান বলেন, ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং সময়ে ফাহিমকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জও ছিল। কিন্তু এই সময়ে সাফল্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সে।
‘তা ছাড়া সংগঠনের অনেকগুলো ঝুলে থাকা বিষয়ও সে সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। এফবিসিসিআইর সংস্কার কাজ যদিও তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি, কিন্তু কাজ শুরু হয়েছে। আশা করব, আগামী নেতৃত্ব তা সম্পন্ন করতে পারবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে নতুন সভাপতিকেও সামনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
সাবেক সভাপতি ও সাংসদ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘এফবিসিসিআই ভালো করলে ব্যবসায়ীরা খুশি হন। ব্যর্থ হলে কষ্ট পান। পূর্বসূরীদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান পর্ষদ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে একটা প্রত্যাশিত স্তরে পৌঁছাতে পেরেছে। এই সংকটকালেও বর্তমান পর্ষদ ভালো কাজ করেছে। প্রণোদনা বাস্তবায়নে বর্তমান পর্ষদ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। নতুন কমিটিও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’