করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। যা মোট এডিপির ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এডিপিতে খাতভিত্তিক বরাদ্দের দিক দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের অবস্থান পঞ্চম।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি বৈঠকে নতুন এডিপি অনুমোদন হয়। সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। আর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। করোনায় এ খাত ভালো কাজ করেছে। তাই আগামী এডিপিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
‘এ বছর এখন পর্যন্ত এ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন তেমন ভালো না হলেও আগামী দুই মাসে অবস্থার উন্নতি হবে।’ আগামী বছর বাস্তবায়ন হার আরও বেশি হওয়ার আশা করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্য খাতের মোট বরাদ্দের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বরাদ্দ রয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ বিভাগ তাদের বরাদ্দের এক-চতুর্থাংশ অর্থ খরচ করতে পেরেছে। তবু আগামী এডিপিতে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুকূলে এ বছর বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। সামনের বছরের জন্য তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। এর বাইরে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগেরও স্বাস্থ্য খাতে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে।
আগামী এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে মোট ৬৫টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ১০টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১৩ হাজার ৮৬৫ কোটি বা এডিপির ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
যদিও এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতের এডিপি বাস্তবায়ন কাঙ্ক্ষিত নয়। ১০ মাসে এ খাতে বাস্তবায়ন হার মাত্র ২৮ শতাংশ। মোট ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খরচ করেছে ৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকা বা ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ খরচ করেছে ৯৩৫ কোটি টাকা বা ৪৯ শতাংশ।