ঈদের আগে বুধবার শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। আগের দিন বেজায় ভিড়ের পর এই চিত্র দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছেন ব্যাংকাররা।
অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলেছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়দিনের মতো গ্রাহকের লম্বা লাইন নেই। ব্যাংক শাখার ভেতরে কয়েকজন গ্রাহক লাইনে দাঁড়িয়ে। নগদ টাকা তোলারও চাপ নেই।
অনেকেই ব্যাংকে এসেছেন নতুন টাকার খোঁজে। তবে মিলছে না কাঙ্খিত নতুন নোট। নতুন ১০ টাকার বাল্ডিল নেই। ২০ টাকার বান্ডিল থাকলেও খুব কম। তবে ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট পাওয়া যাচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদে ১০ ও ২০ টাকার নোটের চাহিদা বেশি। এ কারণে এ দুটি নোট ছাড়ামাত্র শেষ হযে যায়। তবে ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট আছে। গ্রাহকের চাহিদা মতো তারা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে ব্যাংকগুলোতে ভিড় কম থাকলেও স্বাস্থ্যসুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপতে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
ঈদের তিনদিন বন্ধের পর ব্যাংক আবার খুলবে আগামী রোববার।
তবে পোশাক শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা বৃহস্পতিবারও খোলা থাকবে।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ঈদের খরচের জন্য টাকা তুলতে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের চাপ দেখা যায়। বেশির ভাগ শাখায় বাইরেও ছিল গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন। তবে বুধবার সেই চাপ চোখে পড়েনি।
মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এফএম মাসুম বলেন, ‘গত কয়েকদিন নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল। তবে আজ তেমন ভিড় নেই। কয়েকজন এসেছেন নতুন টাকা নিতে। চেষ্টা করছি পুরোনো টাকা বদলে নতুন টাকা দেয়ার।’
মতিঝিল শাখার জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, যাদের লেনদেন করার দরকার ছিল তারা মঙ্গলবারের মধ্যে করেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসছে না। এ কারণে ক্যাশ কাউন্টারগুলোতে চাপও কম।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ৬ মে থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসময় ব্যাংকও সীমিত পরিসরে লেনদেন চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।