দুইটা মাথার ক্লিপ নিয়ে দামাদামি করছেন একজন নারী ক্রেতা ও বিক্রেতা।
বিক্রেতা বলছেন, ৩০০ টাকা হলে বিক্রি করবেন তিনি। তবে ক্রেতা বলছেন, ২০০ টাকা হলেই নেবেন। পরে ২২০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতা।
বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামা আগে দাম কম আছিল। লকডাউনে মাল কিনবার পারি নাই। দাম বাড়ায় দিছে। এত মুলামুলি করবার লাগত না আগে।’
এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর ছোট ছোট মার্কেটগুলোতে। ঈদের আর বাকি দুই দিন। কেনাকাটা প্রায় শেষ দিকে। তবে জামা ও পাঞ্জাবির সঙ্গে মিল রেখে মাথার ক্লিপ, ব্যান্ড, অলঙ্কারের দোকনগুলোতে দম ফেলার সময় নেই বিক্রেতার।
বুধবার রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটে ঘুরে দেখা যায় নারী ক্রেতাদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের অনেকেই এসেছেন জামার সঙ্গে মিল রেখে ছোট ছোট অলঙ্কার কিনতে।
মধ্যবিত্তের জন্য জনপ্রিয় গাউছিয়া ও মৌচাক মার্কেটের বাইরে ফুটপাতে জমে উঠেছে কেনাকাটা।
মৌচাক মার্কেটের বিক্রেতা মিলন বলেন, ‘আগের কয়েকদিন সবাই পোশাকের দোকানে ভিড় করেছে। আর সময় এখন আমাগো। সবাই জামার সাথে মিল রাইখ্যা ছোট ছোট মাথার ক্লিপ, কানের দুল, ব্যান্ড কিনতাছে।’
মিলন বলেন, ‘দাম সবকিছুর একটু বাড়তি। তবে আমরা চেষ্টা করি কম লাভে ছেড়ে দিতে। আগে যে মাল চকবাজার থেকে ৩০ টাহাতে দামে আনতাম এহন তা ৬০ টাহার নিচে দিবার চাই না। তবে ক্রেতা প্রচুর। সবাই কিনতাছে।’
মৌচাক ও আনারকলি সংলগ্ন এই মার্কেটগুলোতে হাঁটার জায়গা নেই। সব দোকানিরা ক্রেতার সঙ্গে দামাদামিতে ব্যস্ত।
পাঞ্জাবির দোকানে ভিড়
মৌচাক মার্কেটের লিলি প্লাজাতে প্রায় ২৫টি পাঞ্জাবির দোকান রয়েছে। সবগুলা দোকানেই ক্রেতার ভিড়।
সেঞ্চুরি পাঞ্জাবি দোকানের বিক্রেতা সনি বালা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেষ দুই দিনে মানুষ আমাদের থেকেই বেশি কিনে থাকে। এখন তাই এখানে ভিড় বেশি। ব্রান্ডের বাইরেও আমরা ভালো কাপড় সরবরাহ করে থাকি। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাঞ্জাবি।’
এই পাঞ্জাবির দোকানগুলোর বাইরে জমে উঠেছে একদামে বিক্রি হওয়া ছেলেদের পায়জামা। ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এগুলো।
তবে ফুটপাতে এসব দোকানে ভিড়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। বেশির ভাগ বিক্রেতার মুখেই মাস্ক নেই। গরমের দোহাই দিয়ে মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে কথা বলছেন তারা।