মহামারি বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়লেও লভ্যাংশ আগের মতোই দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এই দরেও ব্যাংকটি থেকে শেয়ারধারীরা ১০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ পাবেন।
মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থ-বছরে শেয়ারধারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে পাবেন। পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করবে ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। এ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫৩ পয়সা।
গত বছরের শুরুতে দেশে করোনা মহামারি প্রকোপ আকার ধারণ করার পর বন্ধ হয়ে যায় সব আর্থিক কার্যক্রম। বন্ধ করে দেয়া হয় পুঁজিবাজারও। এমন অবস্থায় ব্যাংকগুলো তার শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ আগের তুলনায় কম দেবে বলে আশঙ্কা করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা থেকে দেখা যায় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা করেছে ব্যাংকগুলো। ফলে ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয় ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগাকরীরা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের লভ্যাংশের সীমা বেধে দেয়। এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২৫টির বেশি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার প্রতিটিই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় ঈষর্ণীয় লভ্যাংশ দিয়েছে।
এর আগের বছর ২০১৯ সালে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে একই হারে ১০ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ২০১৬ সালে ব্যাংকটি ৫ শতাংশ নগদসহ ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়।
২০১০ সালে ব্যাংকটি পাঁচটি শেয়ারের বিপরীতে একটি এবং ২০১৪ সালে ২ শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার রাইট হিসাবে ইস্যু করেছে।
২০২০ সালে ব্যাংকটির শেয়ার থেকে বিনিয়োগাকরীরা রিটার্ন পেয়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। ব্যাংকটি থেকে ২০১৫ সালে শেয়ারধারীরা সবচেয়ে বেশি রির্টান পেয়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে রির্টান পেয়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০০৮ সালে। ব্যাংকটির বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯২ কোটি টাকা।