বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপের মুখে ছুটি বাড়ছে পোশাক কারখানায়

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ২২:৪২

ঈদের ছুটি বাড়াতে গত শনিবার মিরপুরের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। সে আন্দোলন অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার মিরপুরের কালশীতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরা ১০ দিনের ছুটির দাবিতে আন্দোলনে শুরু করলে মালিকপক্ষ তা মেনে নেয়।

ঈদে তিন দিনের বেশি ছুটি না দেয়া এবং এ সময় কর্মস্থলে থাকতে সরকার নির্দেশনা দিলেও পোশাক কারখানায় তা মানা সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েক দিনের শ্রমিক আন্দোলনের মুখে ঈদের ছুটি বাড়িয়ে দিচ্ছেন মালিকরা।

অনেক কারখানায় পাঁচ থেকে ১০ দিনের ছুটিও দেয়া হচ্ছে।

এর আগে পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ তাদের সদস্যদের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছিল। তবে ছুটি বাড়িয়ে দেয়া কারখানার সংখ্যা খুব বেশি নয় বলে তারা দাবি করেছে।

ঈদের ছুটি বাড়াতে গত শনিবার মিরপুরের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। সে আন্দোলন অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার মিরপুরের কালশীতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরা ১০ দিনের ছুটির দাবিতে আন্দোলনে শুরু করলে মালিকপক্ষ তা মেনে নেয়।

একই দাবিতে গাজীপুরের হা-মীম গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরাও রাস্তায় নামেন। এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে টঙ্গীর মিলগেটে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে হা-মীমের কর্মী কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের তিন দিনের ছুটি এবং এ সময় কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা সবার জন্যই মঙ্গলজনক ছিল। কারণ করোনা এখন ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। বিজিএমইএ এখনও সে নির্দেশনার পক্ষে। তবে অনেক কারখানার শ্রমিকই তিন দিনের ছুটি মানছেন না। সে কারণে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকরা বদলি কাজ বা আগের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে হয়তো ছুটি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে শ্রমিকদের ছুটি পাঁচ দিন, ছয় দিন, আট দিন, ১০ দিন হয়ে যাচ্ছে।’

‘এবারও কারখানাগুলোর তেমন প্রস্তুতি ছিল। অনেক কারখানা ঈদে বাড়তি ছুটির জন্য আগেই ৪-৫ দিন অতিরিক্ত কাজ করিয়েছে। এখন শ্রমিকরা তা পেতে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের নিয়ন্ত্রণও করা যাচ্ছে না। সে কারণেই হয়তো ছুটি দিতে হয়েছে মালিকদের।’

বিকেএমইএ সহসভাপতি মো. হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারখানার ছুটি বেড়েছে বিষয়টি সে রকম নয়। সরকারি ছুটি এখনও তিন দিনই। তবে অনেক কারখানার মালিক আগেই বন্ধের দিনে নোটিশ নিয়ে শ্রমিকদের ২ থেকে ৩, এমনকি ৪ দিনও কাজ করিয়ে নিয়েছেন। শ্রম আইন অনুযায়ী, এখন শ্রমিকদের পাওনা সে ছুটি দিতে তারা বাধ্য। তাই ছুটির পরিমাণ বাড়ছে। তবে বিকেএমইএ থেকে এ সময় শ্রমিকদের কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।

গত রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানও ঈদের সরকারি ছুটি তিন দিন এবং গার্মেন্টসসহ সব শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের ছুটি পাওনা থাকলে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন। তবে ছুটি যে কদিনই নেয়া হোক না কেন, অবশ্যই কর্মস্থলে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।

আরএমজি-বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভায় তিনি বলেন, সোমবারের মধ্যে অবশ্যই শ্রমিক ভাইবোনদের বেতন-বোনাসসহ সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। সভায় উপস্থিত মালিক প্রতিনিধিরা মঙ্গলবারের মধ্যে প্রায় শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দেন। তবে সোমবার পর্যন্ত অনেক কারখানাই বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি।

বিজিএমইএ বলছে, বর্তমানে তাদের সচল ১ হাজার ৯১৩টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৭০৮টি বা ৮৯ শতাংশ কারখানা বেতন দিয়েছে। বোনাস দিয়েছে ১ হাজার ৭৪৬টি বা ৯২ শতাংশ কারখানা। আর বিকেএমইএ বলছে, ৯৫ শতাংশ কারখানা বেতন-ভাতা দিয়েছে।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে এখনও হিমশিম খাচ্ছেন পোশাক কারখানার মালিকেরা। ক্রয়াদেশ ক্রমে গেছে। তারপরও ঈদের আগে হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়েছেন। ৯২ শতাংশ কারখানা ইতিমধ্যে বোনাস দিয়েছে। কিছু কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর