পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক তাদের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
আগের বছর শেয়ার প্রতি এক টাকা ৩০ টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়া হলেও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা ৫০ পয়সা হারে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে রোববার বিকেলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ১০ জুন যাদের হাতে শেয়ার থাকবে তারাই এই লভ্যাংশ পাবেন। আর ৯ আগস্ট বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনাকালে এই সভা হবে অনলাইনে।
মহামারির বছরে ব্যাংকের আয় লভ্যাংশ কমে যাবে বলে গুঞ্জনের মধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর হিসাব বর্ষ শেষে প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমে যাওয়ার খবর আগে গণমাধ্যমে। এতে লভ্যাংশের মৌসুমেও ব্যাংকের শেয়ার দর হারাতে থাকে।
কিন্তু পরে লভ্যাংশ ঘোষণার পর দেখা যায়, বেশির ভাগ ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো তাদের লভ্যাংশের হারও বাড়িয়েছে।
বছর শেষে মুনাফা বেড়েছে আল আরাফাহ ব্যাংকেরও। পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল দুই টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১৩ পয়সা বা প্রায় ৬ শতাংশ।
মহামারির বছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সঞ্চিতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বেশ ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে তাদের চূড়ান্ত আয় বেড়ে যায় বলে জানাচ্ছেন ব্যাংকাররা।
আর আয় বেশি করার পরিপ্রেক্ষিতে এবার বেশির ভাগ ব্যাংকের লভ্যাংশই আমানতের সুদহারের চেয়ে বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দামের তুলনায়ও লভ্যাংশের পরিমাণ বেশ আকর্ষণীয়।
রোববার দিন শেষে ব্যাংকটির শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫০ পয়সা। এর সাত শতাংশ এবার লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন শেয়ারধারীরা। পুঁজিবাজারের ভাষায় বাজারমূল্যের তুলনায় ল্যভাংশের এই হারকে বলে ইল্ড।
এই ইল্ড সুদহারের চেয়ে বেশি হলে সেটাকে আকর্ষণীয় বলা হয়। বর্তমানে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।
পুঁজিবাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারেও এত বেশি হারে ইল্ড মুনাফা পাওয়া যায় না।