পাঁচ মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেল আরও একটি ব্যাংক। এবার অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকটি হলো সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক।
রোববার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৭৩তম কমিশন সভায় ব্যাংকটিকে অনুমোদন দেয়া হয়।
সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে এক যুগের বেশি সময় পর ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। ফেব্রুয়ারিতে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) গ্রহণ শুরু করে ব্যাংকটি।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের আগে সবশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে আসে।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকে শর্ত দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির আগে ব্যাংকটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে মোট ১০ কোটি শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু হবে ১০ টাকা। উত্তোলন করা টাকা দিয়ে ব্যাংকটি সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় ও আইপিওর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খরচ করবে।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় ৯৪ পয়সা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ২৪ পয়সা।
ওয়েবসাইটের তথ্যে বলা হয়েছে, ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন পরিমাণ ৪৯৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু একাধিকবার সময় বাড়িয়ে, কার্যক্রম শুরুর প্রায় আট বছর পর পুঁজিবাজারে এলো সাউথ বাংলা।
ব্যাংকটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।