ঈদের আগে ময়মনসিংহের ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের ভিড় বাড়ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের টাকা তুলতে দেখা গেছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জ ব্রাঞ্চের সোনালী ব্যাংকে রোববার দুপুর পৌনে ১টার সময় গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। মাস্ক ছাড়া কেউ আসলে মূল দরজা থেকেই বলা হচ্ছে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে।
ব্যাংকের ভেতরে থাকা সব গ্রাহকের মুখেই মাস্ক রয়েছে। তবে একজন আরেকজনের গায়ে হাত রেখে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবুও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর টাকা উত্তোলন করে খুশিমনেই চলে যাচ্ছেন তারা।
ব্যাংকের ভেতর লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন খায়রুল আলম নামে এক গ্রাহক। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি টাকা তোলার জন্য। তবে পেছন থেকে অন্য গ্রাহকরা গাদাগাদি করছেন। এতে করে করোনা-আতঙ্ক মনের ভেতর চলে আসে।’
ইকবাল কবীর নামে আরেকজন বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে টাকা জমা দেয়ার জন্য ব্যাংকে এসেছি। আমি সবার পেছনে থাকায় কাউকে স্পর্শ করতে হয়নি। এ ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই এসেছি। তবে ব্যাংকে আসা গ্রাহকের সামাজিক দূরত্ব না থাকায় এখানেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ঈদের আগে ব্যাংকে গ্রাহকদের চাপ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। ব্যাংকে আসা সব গ্রাহকের মুখেই মাস্ক রয়েছে। হঠাৎ যদি কেউ মাস্ক মুখের নিচে ঝুলিয়ে রাখেন তাৎক্ষণিক মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া মাস্ক ছাড়া ব্যাংকের ভেতর কোনো গ্রাহক নেই। গ্রাহকদের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ভিড় সামলাতে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ব্রাঞ্চের সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তফা মো. খাইরুল আলম তুহিনের কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ব্যাংকিং লেনদেন চালু ছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
ঈদের কারণে ব্যাংকে চাপ বাড়ায় লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা এবং প্রধান কার্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।