বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ শপিং: ক্রেতা ছাড়তে রাজি নন বিক্রেতা

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ১৪:২৫

রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, নূরজাহান মার্কেট, মৌচাকও মালিবাগ এলাকায় দেখা যায় সারাক্ষণই ক্রেতার চাপ। চলছে কেনাকাটার ধুম। ক্রেতাদের ভিড়ে উধাও স্বাস্থ্যবিধি।

রাজধানী প্রতিটা শপিং মল ও মার্কেটে চলছে ঈদ কেনাকাটার ধুম। এই সময়ে কোনো ক্রেতাকে ছাড়তে রাজি নন বিক্রেতারা। ঈদের বাকি চার দিনে লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তাদের।

করোনাভাইরাস ভীতি উপেক্ষা করে মার্কেটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আর সল্প লাভে বিক্রি করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যবসায়ীরা।

রোববার রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, নূরজাহান মার্কেট, মৌচাকও মালিবাগ এলাকায় দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে সারাক্ষণই ক্রেতার চাপ। চলছে কেনাকাটার ধুম। ক্রেতাদের ভিড়ে উধাও স্বাস্থ্যবিধি।

ক্রেতাদের মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে গা নেই ব্যবসায়ীদেরও। তারা আছেন বিক্রির লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেট খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনার ৫০ ভাগ ব্যবসা হয়েছে। যদি আর চারদিন ঠিকমত বেচাকেনা হয় তবে লকডাউনের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

গাউছিয়া মার্কেটের দোকানি বুলবুল হোসেন বলেন, কাস্টমারের চাপ আছে ভালোই। তবে সবাই যে কিনবে এমন না। লাভ হচ্ছে কিন্তু সেটা স্বাভাবিক সময়ের মত নয়। আগের মত দরদাম করি না এখন। অনেক কম লাভে বেচে দিচ্ছি।’

ঢাকা কলেজের বিপরীতে ছেলেদের জিন্স আর শার্টের জন্য প্রসিদ্ধ বদরুদ্দোজা মার্কেটের ব্যবসায়ী হাছিব আলম নিউজবাংলাকে বলেন, গত কয়েকদিনে ভালো ব্যবসা হয়েছে। মার্কেটে ক্রেতার চাপ আছে। যদি এইভাবে আরও চারদিন ব্যবসা করতে পারি তবে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।

চলছে কেনাকাটার ধুম। ছবি: নিউজবাংলা

হাছিব আলমের দোকানের কর্মচারী জানান, ‘আল্লাহ দিলে ভালো বিক্রি আছে। বাঙালির তো আর চাহিদার শেষ নাই। তাই আপনারে কেউ কখনও বলবে না যে ভালো ব্যবসা হচ্ছে। আমাগো সল্প লাভ হইলেই হবে। এই মার্কেটে সব দোকানেই কমবেশি বেচাকেনা হচ্ছে।’

দোকানিরা বলছেন, অনেকেই এখন আর প্রয়োজনের বাইরে কিনতে চান না। আগে ঈদ মানে অনেক শপিং ছিল। এখন আর সেটা নেই। তবে ঈদের আগে যদি কোনো ঝামেলা না হয় তাহলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।

ঈদের কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি ভিড় নিউ মার্কেট ও গাউছিয়া কেন্দ্রিক ফুটপাতগুলোতে। দোকানিদের দম ফেলার সময় নেই। বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার নিরন্তর প্রচেষ্টা তাদের।

নীলক্ষেত মোড় থেকে শুরু করে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত ফুটপাতে পন্য সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। মার্কেটের বাইরে ফুটপাতকেন্দ্রিক কেনাকাটায় বেশি ব্যস্ত রয়েছেন ক্রেতারা।

ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মেয়েদের গহনা, ব্যাগ ও স্যান্ডেল৷ ভিড় সেখানেই সবচেয়ে বেশি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।

স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে ফুটপাতে গহনার দোকানি আমিনুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এহন কী আর এইসব দেখার সময় আছে ভাই। লকডাউনের ডরে মাল নিয়ে বের হতে পারিনি। এখন একটু বেচাবিক্রি হচ্ছে। আল্লাই দিলে ঈদ করতে পারুম। আমাগো আর জ্বালায়েন না।’

ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. আমিনুল হক শাহীন জানান, এখন একটু ক্রেতার চাপ বেশি। ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। দোকানিরা মাস্ক পরেই বিক্রি করছেন।

আমিনুল বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ছোট ছোট অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। মধ্যবিত্তদের মার্কেট হয়াতে এখানে ভিড় একটু বেশি থাকে। এখন অনেক দোকানি আর লাভের চিন্তা করেন না। আগে বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন।

কেনাকাটার একই চিত্র মৌচাক মার্কেটেও। পাঞ্জাবি বিক্রেতা সনি বালা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যবসা করতে হবে। গতবার এই সময় আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে গেছিল। এবার একটু ব্যবসা করার সুযোগ হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লাভ কম করে বিক্রি করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর