বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানি বহুমুখীকরণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় জোর বাণিজ্যমন্ত্রীর

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ১৭:০২

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘ইসিফোরজে’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে চামড়াজাত, প্লাস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যখাতকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।

রপ্তানি বহুমুখীকরণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দরকার মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের হতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়।

শনিবার আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অফ বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপারচ্যুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু।

মন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। রপ্তানিপণ্যের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বাজার সম্প্রসারণেরও বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সরকার এখন দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রপ্তানি পণ্যকে টার্গেট করে কাজ করছে।

তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অফ দি ইয়ার’ ঘোষণাও করেন।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘ইসিফোরজে’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে চামড়াজাত, প্লাস্টিক, তথ্যপ্রযুক্তি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যখাতকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এরই মধ্যে ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ দেয়া, হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া, ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।

রপ্তানির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

‘তবে আশার কথা হচ্ছে, এর মাঝেও রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে; আমাদের রপ্তানি থেমে নেই। এর ফলে করোনা পরবর্তীতে বাংলাদেশ আবার নিশ্চয়ই রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।’

এলডিসির চ্যালেঞ্জ

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

‘ইতোমধ্যে ভুটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে। আরও বেশ কিছু দেশের সাথে বাণিজ্যচুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে।’

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার যে কাজ শুরু হয়েছে, তার কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে।

আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খান ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসর্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ মো. সোহরাব হাসান এবং আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু।

এ বিভাগের আরো খবর