বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানি কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

  •    
  • ৭ মে, ২০২১ ০৮:৩৮

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম বন্দর নির্ভর। দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ এবং রপ্তানির ৯১ শতাংশই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এ বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি কমছে, আমদানি বাড়ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মার্চের তুলনায় এপ্রিল মাসে রপ্তানি কমেছে। করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়াতে এমন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা। তবে বন্দরে পণ্য আমদানি বেড়েছে।

শিপিং লাইন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০২১ সালের এপ্রিলে রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার গেছে ৫৫ হাজার ৮৮৩ টিইইউ (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস) বা একক। মার্চ মাসে গেছে ৬০ হাজার ৮৫২ একক। এক মাসে পণ্যভর্তি কন্টেইনার রপ্তানি কমেছে চার হাজার ৯৬৯ একক।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছিল এপ্রিল মাসে। গতবছর এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি এবং রপ্তানি দুই খাতেই বড় ধরনের ধস নেমেছিল। পণ্য রপ্তানিতে অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। এ বছরেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কেমন চলছে তার বড় একটি ধারণা পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ওঠানামার চিত্র দিয়ে। কারণ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানির ৮২ শতাংশ হয়, আর রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশই এ পথে যায়।

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলেছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের আঘাত পোশাক খাত কাটিয়ে উঠলেও দ্বিতীয় ঢেউ আবারও ধাক্কা দিয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য পোশাক। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার বেশিরভাগ হচ্ছে পোশাক।

বিজিএমইএ চট্টগ্রামের সাবেক পরিচালক ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আতিক বলেন, ‘নিত্যদিন অর্ডার বাতিল হচ্ছে। নতুন অর্ডার আসছে না। সবমিলিয়ে আবারও বিপদে পোশাক খাত। এজন্য রপ্তানি কমে গেছে।’

এদিকে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজও কম ভিড়েছে। মার্চে বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়েছে ১১৫টি, আর এপ্রিলে ভিড়েছে ১১১টি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দর ২৪ ঘণ্টা সচল রয়েছে। পরিবহন, যান্ত্রিক, মেরিন, নিরাপত্তা বিভাগের শতভাগ জনবল দিয়ে কাজ চলছে। পণ্য উঠানামায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্দর সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। করোনার কারণে কাজে ধীরগতি হয়নি। মূলত উৎপাদন কমে যাওয়াতে রপ্তানি কমেছে।’

তবে রপ্তানি কমলেও মার্চের তুলনায় এপ্রিলে পণ্য আমদানি বেড়েছে। বন্দরে মার্চ মাসে আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার এসেছে ১ লাখ ১৭ হাজার একক। এপ্রিলে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ একক। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে পণ্যভর্তি কন্টেইনার আসা বেড়েছে দেড় হাজার একক।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের সভাপতি মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক ছিল। লকডাউনের মধ্যে এপ্রিলেও স্বাভাবিক ছিল। ব্যবসায়ীরা বন্দরের কাজে সন্তুষ্ট।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অফিস ও আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ আছে। তবে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলছে। এরপর ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর