বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুরিয়ারে ক্যাশ অন ডেলিভারির টাকা সরাসরি ব্যাংকে

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ২২:২৫

বর্তমানে কুরিয়ার সেবা দেয়া সার্ভিসের নিজস্ব মাসুলসহ পণ্যমূল্য সংগ্রহ করে থাকে। এরপর মাসুল নিজের কাছে রেখে পণ্যমূল্য বিক্রেতাকে ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াই নগদে প্রদান করে। এর ফলে নানা ধরনের আর্থিক সমস্যার তৈরি হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় এখন থেকে এসব লেনদেন ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।

ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠিয়ে ক্যাশ অন ডেলিভারির টাকা এখন থেকে বিক্রেতার হাতে হাতে দেয়া যাবে না। পাঠাতে হবে সরাসরি তার ব্যাংক হিসাবে।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্টস সিস্টেমস বিভাগ।

ডাক বিভাগের লাইসেন্সধারী কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে প্রথমবারের মতো এ নীতিমালা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, অনলাইন বা অন্য যে কোনো মাধ্যমে ক্রেতার ক্রয়াদেশের বিপরীতে কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতিতে পণ্য সরবরাহ করে অর্থ সংগ্রহের জন্য ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে। ডাক বিভাগের লাইসেন্স আছে এবং কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমন কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ নিয়ম মেনে পণ্য ডেলিভারি সংক্রান্ত লেনদেনের জন্য ব্যাংকে সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। নির্দিষ্ট ভাউচারের বিপরীতে সরবরাহ করা অর্থ এই হিসাব থেকে লেনদেন করা যাবে।

কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার বিপরীতে মাসুল এবং বিক্রেতার পণ্যের মূল্য আলাদা করে জমা হবে। এরপর পণ্যের মূল ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে।

বর্তমানে কুরিয়ার সেবা দেয়া সার্ভিসের নিজস্ব মাসুলসহ পণ্যমূল্য সংগ্রহ করে থাকে। এরপর মাসুল নিজের কাছে রেখে পণ্যমূল্য বিক্রেতাকে ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াই নগদে প্রদান করে।

সড়কে প্রায়ই চোখে পড়ে এই ধরনের ডেলিভারি ম্যানের চলাচল। তারা পণ্য বাসায় পৌঁছে দিয়ে টাকা এনে মার্চেন্টকে পৌঁছে দেন

এর ফলে নানা ধরনের আর্থিক সমস্যার তৈরি হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় এখন থেকে এসব লেনদেন ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়, কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় প্ল্যাটফর্মের পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থায় ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। পণ্যমূল্য সংগ্রহ করে তা বিক্রেতাকে দিচ্ছে। পাশাপাশি এক ব্যবসায়ী থেকে অন্য ব্যবসায়ীর কাছে মূল্য ঘোষিত পার্সেল বিতরণ ও কন্ডিশন বুকিং ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। এধরনের লেনদেনের অর্থ কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে আসছে।

এখন থেকে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে এধরনের লেনদেন পরিচালনা এবং কুরিয়ারের লেনদেন একটি নীতি কাঠামোর আওতায় আনার জন্য ‘কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মূল্য ঘোষিত পণ্য বা পার্সেল বিতরণ হতে উদ্ভূত নগদ অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন পদ্ধতি’ শীর্ষক নীতিমালা করা হলো।’

এতে বলা হয়েছে, সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা কন্ডিশন বুকিংয়ের বিপরীতে সংগৃহীত পণ্যমূল্য জমা, পণ্য পরিবহনের কুরিয়ার ফি, বিক্রেতার পক্ষে অর্থ গ্রহণ ও তাকে স্থানান্তর বাবদ সার্ভিস চার্জ এবং বিক্রেতার অর্থ পরিশোধ করা যাবে।

শুধুমাত্র ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের লাইসেন্সধারী এবং কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (সিএসএবি) সদস্য প্রতিষ্ঠানকে এ সেবা দেয়া যাবে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভাউচারের বিপরীতে ক্রেতার কাছ থেকে এধরনের অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। পণ্যের ঘোষিত মূল্যের ভাউচার সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেন্ট্রাল ডাটা সিস্টেমে দৈনিক ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ডেলিভারি ম্যান পণ্য পৌঁছে দিয়ে যে টাকা নিয়ে আসেন, তা মার্চেন্টের ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দিতে হবে

পণ্য বিক্রেতার ব্যাংক বা এমএফএস হিসাব না থাকলে বিক্রেতাদের প্রাপ্য অর্থের তালিকা ব্যাংকে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিক্রেতার পক্ষে নগদ অর্থ নিজেদের সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে পরিশোধ করতে পারবে।

তবে এ নগদ উত্তোলনের পরিমাণ কোনভাবেই একক পণ্যমূল্য বাবদ ৫ হাজার টাকার বেশি হবে না।

এ ধরনের লেনদেনের তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে কোনো ধরনের অসঙ্গতি ধরা পড়লে সংশ্লিষট প্রতিষ্ঠান অ্যাকাউন্ট স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে ওই ব্যাংক। এছাড়া কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একটি বিরোধ নিষ্পত্তি বিধিমালা থাকতে হবে। অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের উৎপত্তি হলে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিরোধের নিষ্পত্তি করবে।

এ বিভাগের আরো খবর