গ্রাহকদের চাহিদা থাকায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। রমজানে টিসিবির পণ্য বিক্রির শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। তবে বিক্রির সময় ৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ তিনদিন পণ্য একই হারে বরাদ্দ দেয়া হবে। ট্রাকসেল ও বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যাও আগের মতো থাকবে। এবার অন্য সব বছরের চেয়ে পণ্য বিক্রি বাড়ানো হয়েছে।’
গত ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে ৫০০ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। রাজধানীতে ১০০টি ট্রাকসহ ঢাকা জেলায় ১৩৫ ট্রাকে বিক্রি হয়েছে পণ্য। চট্টগ্রাম শহরে ২০টি এবং অন্যান্য বিভাগ ও জেলায় বাকি ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। প্রত্যেক ডিলারকে ট্রাকে এক হাজার থেকে ১২ শ লিটার ভোজ্যতেল, প্রায় সমপরিমাণ পেঁয়াজ, ৮০০ কেজি চিনি, ৬০০ কেজি মসুর ডাল ও ৪০০ কেজি ছোলা দেয়া হয়।
প্রতি কেজি চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা ৫৫ টাকা দরে, সয়াবিন তেলের লিটার ১০০ টাকা ও পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা ধরা হয়েছে। ভোজ্য তেলের মূল্য প্রথমে ছিল ৯০ টাকা। কিন্তু রোজার কারণে সেটা ১০ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি দাম ধরা হয় এক শ টাকা।
এর আগে এক দফায় চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা এবং তেল ১০ টাকা বাড়ানো হয়। তার পরেও এই দাম মানুষের জন্য অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
খোলাবাজারে চিনি ও ডালের দাম কেজি প্রতি কমপক্ষে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর ভোজ্যতেল ১৪০ টাকার কমে নয়।
করোনার কারণে বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মানুষের আয় কমে গেছে, অন্যদিকে বেড়ে চলেছে দ্রব্যমূল্য। এমন অবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে এগিয়ে আসে টিসিবি।
১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজার টন তেল বিক্রি করেছে টিসিবি। আর ১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার টন তেল বিক্রি করে টিসিবি। মোট বিক্রির পরিমাণ ২৩ হাজার টন।
রমজানকে কেন্দ্র করে মোট ১৬ হাজার টন চিনি বিক্রি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠান। ১৭ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে সাড়ে এগার হাজার মেট্রিক টন।
প্রতি বছর ৫০০ মেট্রিক টন খেজুর বিক্রি করে এ প্রতিষ্ঠান। চাহিদা বেশি থাকার কারণে এবার রোজার প্রথম ১৫ দিনেই শেষ হয়ে যায় খেজুর বিক্রি। আগামী বছর থেকে রোজার সময় খেজুর বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
এ সময়ে সাত হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ছোলা বিক্রি হয়েছে।