চলমান সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনে বিভিন্ন জেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ মাছ-মাংস বিক্রিতে সাড়া পড়েছে। এই সময়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গাড়িতে করে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে ২০৪ কোটি টাকার।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, গত ৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত এক মাসে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে মোট ২০৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নিজেই।
মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আলাদা দুটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ এসব পণ্য বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ৪ মে পর্যন্ত এক মাসে দেশের ৬৪টি জেলায় ৫৩ লাখ ৫ হাজার ২১৬ লিটার দুধ, ২ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮১টি ডিম, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯১ কেজি গরুর মাংস, ৯৮ হাজার ৭২১ কেজি খাসির মাংস, ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ কেজি দেশি, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ৪ হাজার ১২৪ মেট্রিকটন মাছ বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া ৩ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৫ টাকার বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যও বিক্রি হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে ডিম কিনছেন এক ক্রেতা। ছবি: নিউজবাংলা
গত এক মাসে সারা দেশে ১৭ হাজার ৯৫৪টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে এলাকাভেদে প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায়, প্রতিটি ডিম ৬ টাকায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ টাকায়, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১৯ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় বিক্রয় হয়েছে।
সারা দেশেই ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে মাছ-মাংস, ডিম, দুধসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি গত এক মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের মাছ অনলাইনে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্যক্রমটিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণনের সুযোগ পেয়েছেন। আর ভোক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছেন।