বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার মেরিন একাডেমিসহ ৬ প্রকল্প উদ্বোধন

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ১২:১৪

অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র।

বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেটে নতুন চারটি মেরিন একাডেমিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৬টি প্রকল্পের অবকাঠামো উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।

অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে কোনো অবদানই রাখেনি। নৌপথে অল্প খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা ব্যবসাকেই বড় করে দেখত। এ কারণে সড়কপথে তারা যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে, নৌপথে তা নেয়নি।

‘আমরা সরকারে আসার পর নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি। ২০২৪-২৫ সালে আরও ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। তবে আমি এটুকু বলব, শুধু খনন করলেই হবে না, প্রতিবছর রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথকে সংযুক্ত করা হচ্ছে, যেন নৌপথে মালামাল আনা-নেয়া করা যায়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখতে ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করে সরকার। নতুন ২০টি ড্রেজার যুক্ত হলে বিআইডব্লিউটিএর বহরের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৫টি। এগুলো ছাড়া আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ চলাচল করবে কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে। এ জাহাজ দুইটির মাধ্যমে বছরে ছয় লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর