বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: বেনাপোলে এপ্রিলে রাজস্ব কমেছে ১৩০ কোটি টাকা

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ০০:০৩

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।

করোনার বিরূপ প্রভাবে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানির ধীরগতিতে রাজস্ব আয় কমেছে শত কোটি টাকারও বেশি। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনায় ব্যাংকিং সময় কমানোসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় আমদানি-রপ্তানি কমে রাজস্ব আয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের ঘোষিত লকডাউনে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম আওতামুক্ত। তবে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত অন্য বিষয়গুলোতে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে বাণিজ্যে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি বছর বেনাপোল দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও আট হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। তবে প্রায় দেড় বছর ধরে করোনার থাবায় দিন দিন রাজস্ব আয়ে ভাটা পড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন নিউজবাংলাকে জানান, দেশে শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় সরকার বন্দর সচল রেখেছে। এটা ভালো দিক। তবে তার খুব একটা সুফল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাসের আগে সরকারের রাজস্ব পরিশোধের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক লেনদেন ও কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সময়মতো শেষ করতে পারছেন না। এতে বাণিজ্যে ধীরগতির সৃষ্টি হয়।

রাজস্ব আয় ঠিক রাখতে সরকারের কাছে বেলা দুইটা পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দেশে করোনায় টালমাটাল অবস্থা। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এমন অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে বাণিজ্যে মন্দাভাব চলছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ করে লকডাউনে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্য করতে পারছেন না। এতে পণ্য আমদানির আগ্রহও অনেকটা কমেছে। এ ছাড়া ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় সেখান থেকেও নানা সংকটে সময়মতো পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গোবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন জানান, সর্বশেষ গত রোববার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৭৪টি বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক ও ৪০টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য গেছে ৬৭ ট্রাক। আগের তুলনায় এটি বেশ কম।

বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আকতার ফারুক জানান, মার্চে এ বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ৬০০ কোটি টাকার। কিন্তু এপ্রিলে আদায় হয়েছে ৪৭০ কোটি টাকা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এই অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর