বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবৈধ বিটকয়েনে কোটিপতি, হোতাসহ আটক ১২

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ২১:১৩

বাড্ডায় তিনটি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন চক্রটির হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিটকয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তার দুটি ফ্ল্যাট, একাধিক প্লট ও সুপারশপের ব্যবসা রয়েছে।

অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি চক্রের কোটিপতি হোতাসহ ১২ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

রোববার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

সেখান থেকে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ও তার ১১ জন সহযোগীকে আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার পাশাপাশি সুমনের বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সোমবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, চক্রটির হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন। তিনি কয়েন সুমন নামে পরিচিত। সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করে ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। এর আড়ালেই তিনি শুরু করেন বিটকয়েনের ব্যবসা।

এর পর সুমন গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অবৈধ বিটকয়েন ও অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন। শুরুতে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে বড় হয় সুমনের অফিস।

সবশেষ বাড্ডায় তিনটি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সুমন। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিটকয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তার দুটি ফ্ল্যাট, একাধিক প্লট ও সুপারশপের ব্যবসা রয়েছে বলে জানান খন্দকার আল মঈন।

সুমনের একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেটে এক বছরে বিটকয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন আরও জানান, অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার পাশাপাশি ইসমাইল হোসেন সুমন বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতারণা ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগও পেয়েছে র‌্যা। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে নানা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতেন সুমন। পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে পণ্য না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। তা ছাড়া কেউ যদি পণ্য ক্রয় করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন, তাহলে ক্রেডিট কার্ড হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করতেন সুমন ও তার সহযোগীরা।

আটক হওয়া চক্রের ১১ সদস্য হলেন আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর