বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমল ভোজ্যতেলের দাম

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ১৭:৩৫

তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়ায় নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪১ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৯ টাকা, পাম সুপার তেলের প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া, পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হওয়ার কথা ৬৭০ টাকায়।

অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোজ্যতেলের দাম পাঁচ টাকা বাড়ানোর তিন দিনের মাথায় এবার প্রতি লিটারে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারীরা।

সয়াবিন এবং পামঅয়েলে বোতলজাত ও খোলা উভয় ক্ষেত্রে এই হ্রাসকৃত দাম প্রযোজ্য হবে বলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সোমবার নির্ধারিত আগের বাড়তি দাম থেকে সরে আসে সংগঠনটি। সয়াবিন ও পামঅয়েলে প্রতিলিটারে ৩ টাকা কমাতে সম্মত হয়।

লিটারে ৫ টাকা বাড়ানোর কারণে বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা, খোলা সয়াবিন ১২২ টাকা, পাম সুপার তেলের প্রতি লিটার ১১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৬৮৫ টাকায়।

এখন ৩ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়ায় নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪১ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৯ টাকা, পাম সুপার তেলের প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া, পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হওয়ার কথা ৬৭০ টাকায়।

এর আগে গত ১৫ মার্চ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশকবিষয়ক জাতীয় কমিটি ভোক্তা পর্যায়ে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে।

তবে সোমবার দাম পুনর্নির্ধারিত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম ৩ টাকা কমানো সত্ত্বেও নতুন দাম জাতীয় কমিটির আগের নির্ধারিত দরের চেয়ে ২ টাকা বেশি।

এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ভোজ্যতেলে ৮০ থেকে ১০০ ডলার দাম বাড়ার কথা বলে স্থানীয় বাজারেও লিটারপ্রতি ৫ টাকা হারে দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা উৎপাদক ও পরিবেশকেরা দিয়েছিলেন, সেখানে সরকারের কোনো অনুমোদন ছিল না। উৎপাদকরা তা তোয়াক্কা না করেই নিজেদের মতো করে বাড়িয়ে দেন দাম।

এতে প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় হওয়ায় সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, না তাদের নির্ধারিত দাম মেনে নেবে কিংবা প্রত্যাহারের চাপ দেবে এরকম সংকটে পড়ে সরকার।

ভোজ্যতেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ‘এর আগে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে ৫ টাকা দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল, সেখানে সরকারের এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির কোনো অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও দাম বাড়ানোয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত তৎপরবর্তী করণীয় নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়।

‘তারই অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও উৎপাদক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে। এ বৈঠকে ভোজ্যতেলের বাড়তি দর দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর অবস্থানটি যৌক্তিক। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই করোনা, লকডাউন, রমজান এবং ক্রয়ক্ষমতা সার্বিক বিষয়ে ভোক্তার বৃহৎ স্বার্থে উৎপাদক কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত দাম মেনে নেয়নি। বৈঠকে নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সেখানে তারা ৫ টাকার বাড়তি দাম থেকে ৩ টাকা কমাতে রাজি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর