করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব আন্তজেলা পরিবহন সেবা বন্ধ থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, এখনো অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট খোলা থাকায় প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় রেখেই শর্ত সাপেক্ষে খোলা রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার শুরুতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। সেই সময় আন্তজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।
সে প্রেক্ষাপটে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলার কথা থাকলেও পরে তা বৃদ্ধি করা হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত। ২১ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।
পরে ১ মে থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে ১২টি দেশ বাদ দিয়ে সব দেশের সঙ্গেই ফ্লাইট শুরু করে বাংলাদেশ। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ২৬টি দেশ থেকে কেউ দেশে এলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।