বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ২১:১৯

বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। ঈদের মাত্র ১০ দিন বাকি। চূড়ান্ত কেনাবেচাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার সময়সীমা আরও চার ঘণ্টা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে।

ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। ঈদের মাত্র ১০ দিন বাকি। চূড়ান্ত কেনাবেচাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার সময়সীমা আরও চার ঘণ্টা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে।

প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছেও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, বর্তমানে দোকান খোলার যে (সকাল ১০-রাত ৮টা) সময়সীমা দেয়া হয়েছে, তাতে ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসে না। হোটেল- রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় রোজাদাররা ৫টার পর মার্কেটে থাকলে ইফতার করতে পারেন না। আবার ইফতারের পর নামাজ ও স্বল্প বিশ্রাম শেষে ৭টার আগে বেরও হতে পারেন না।

তিনি বলেন, ‘এরপর বাকি সময়টা মার্কেটে আসতে আসতেই শেষ হয়ে যায়। কেউ কেউ আসলেও সময় নিয়ে কেনাকাটা করতে পারেন না। সব মিলে ৭টার পরে মার্কেটে কোনো ক্রেতা থাকে না। তাই দোকান চালু রাখার সময়সীমা ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হলে ইফতারের পরও মানুষ মার্কেটে আসবেন এবং স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারবেন।

‘মূলত বৃহৎ স্বার্থে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এই চিঠি দিয়েছে। আমরা আশা করি সরকার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন।’

সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দোকান মালিক সমিতির পাঠানো চিঠির অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।

সংগঠনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা প্রতিরোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আমরা দোকান মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে সারা দেশে দোকানপাট বন্ধ রাখার আহ্বান জানালে মালিকরা লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরবর্তীতে ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ী, পাইকারি ও খুচরা দোকান মালিক সমিতির আবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল থেকে বিশেষ বিবেচনায় প্রথমে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা এবং পরবর্তীতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়।

মার্কেটে ক্রেতা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে জানানো হয়, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকলেও হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বাইরে ইফতারের সুযোগ না থাকায় ক্রেতারা সাধারণত বিকেল ৩-৫টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় চলে যায়। অন্যদিকে বেসরকারি অফিস ছুটি হয় চারটায়। তারা মার্কেটে যেয়ে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কেনাকাটা করে। এতে দেখা যায় ওই সময় মার্কেটে ক্রেতার চাপ বাড়ে ও প্রচণ্ড ভিড় হয়। কিন্তু ওই সময়ে মার্কেটে থাকা ক্রেতারা বাসায় গিয়ে ইফতার সারতে সন্ধ্যা ৭টা বেজে যায়। ফলে মার্কেট ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও বাকি এক ঘণ্টার জন্য কেউ কেনাকাটা করতে আসে না। ফলে সাতটার পর মার্কেট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে দোকান মালিক সমিতির চিঠিতে বিশেষজ্ঞদের মতামতের কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বিভিন্ন টকশোতে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন, বেলা তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কেনাকাটায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। এই ভিড় কমাতে মার্কেট ও দোকান সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখলে বিকেলের ভিড়টা কমে যাবে। পাশাপাশি ক্রেতারাও সময় নিয়ে কেনাকাটার সুযোগ পাবে।

চিঠিতে দোকান মালিক সমিতি জানায়, প্রত্যেক মার্কেট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এখন দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে।

এ বিভাগের আরো খবর