বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০ পয়সা লভ্যাংশের প্রস্তাবে দাম বাড়ল ২৪ শতাংশ

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ১৭:১৬

কোম্পানিটির ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা। ফলে শেয়ার দর বেড়েছে হু হু করে। লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দরে কোনো লিমিট বা সীমা ছিল না।

শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা বা ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার খবরে দর বাড়ল ৪ টাকা ৪০ পয়সা। রোববার পুঁজিবাজারে এমন ঘটনা ঘটেছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে।

কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের জন্য তাদের প্রথম প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারধারীদের ২ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। যার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ মে।

কিন্তু কোম্পানিটি ২০২০ সালের শেয়ারধারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

রোবাবর প্রকাশ করা কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২১ সময়ে কোম্পানির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১ কোটি টাকার কিছু বেশি। আর মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা কমেছিল ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর মোট লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা। ফলে শেয়ার দর বেড়েছে হু হু করে। লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দরে কোনো লিমিট বা সীমা ছিল না। ফলে আগের দিনের থেকে কোনো সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ার সুযোগ ছিল কোম্পানিটির।

ফলে এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শেয়ার দর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সা।

গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আর সর্বনিম্ম ২ হাজার ৭০০ টাকায়। কিন্তু অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে রোববার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কেন হঠাৎ লভ্যাংশ

কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১২ সালে। এ সময়ে মাত্র দুবার শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিতে পেরেছে কোম্পানিটি। ২০১২ সালে ৮ শতাংশ আর ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর আর এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেনে মুনাফা ছাড়া আর কোনো বাড়তি লাভ হয়নি।

তবে হঠাৎ করে কেন এমন লভ্যাংশ তা জানতে যোগাযোগ করা হলে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কোম্পানি সচিব আবু সাঈদ সরকার নিউজবাংলাকে জানান, তিনি বর্তমানে পদ্মা লাইফে নেই।

তবে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা লাইফ দীর্ঘ সময় ধরে শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। এতে কোম্পানিটি বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ অবস্থা থেকে উঠে আসার জন্যই এমন অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

বক্তব্য

এ বিষয়ে ডিএসই উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, কোম্পানি চাইলে এমনভাবে লভ্যাংশ দিয়ে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে পারবে। ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণে নূন্যতম ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। তবেই ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হবে। এর জন্য বছর শেষ কোম্পানিটিকে আরও ৩ শতাংশ নগদ বা বোনাস লভ্যাংশ দিতে হবে।

একইভাবে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হতে হলে এখন ২ শতাংশ এবং বছর শেষে আরও ৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আবু আহমেদ বরাবরের মতো আবারও বলেন, বিমা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বেশি আগ্রহ। এখানে কী হচ্ছে কে জানে। ‘জেড’ ক্যাটাগরির একটি কোম্পানি লভ্যাংশ দিয়েছে তাতে যেভাবে শেয়ার দর বেড়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। পুঁজিবাজারে আরও অনেক কোম্পানি আছে যারা এর চেয়ে শতভাগ বেশি লভ্যাংশ দিলেও শেয়ার দর বাড়ে না।

তিনি বলেন, ‘বিমা কোম্পানি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে মুনাফা পাচ্ছে তাই সবাই যাচ্ছে। তবে এটাও সত্য এ ধরনের মুনাফা বেশি দিন স্থায়ী হয় না।

কার কাছে কত শেয়ার

কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির অর্থবছর নির্ধারণ করা আছে ৩১ ডিসেম্বর।

এ বিভাগের আরো খবর