দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন (এফবিসিসিআই) ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধে রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে পূর্ব নির্ধারিত ৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
অবশ্য ভোট ছাড়াই এফবিসিসিআই নেতৃত্ব ঠিক হয়ে গেছে এবার। ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ এই সংগঠনটির নির্বাচনে পরিচালকের পদ যতগুলো প্রার্থীও হয়েছেন ততজন। তাই আর ভোট লাগছে না।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলটি খারিজ করে দেয়।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ২০ এপ্রিল রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেটি এবার খারিজ করে দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে গত ১৪ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশনের পরিচালক বরাবর একটা আবেদন করি। ওই আবেদনটি তারা নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন। আজকে রুলটি খারিজ করে দিয়েছেন।’
তফসিল অনুযায়ী এফবিসিসিআই ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালক পদে ভোটগ্রহণ ৫ মে।
গত ১৩ মার্চ প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সংশোধন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ২৪ মার্চ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পরিচালক পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ৩১ মার্চ। ৮ এপ্রিল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১১ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিন। ১৫ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২১ এপ্রিল ছিল প্রত্যাহারে শেষ দিন।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৫ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদে সাধারণ সদস্যদের ভোটগ্রহণ শেষে ফল প্রকাশ করার কথা।
কিন্তু ভোট ছাড়াই নেতৃত্ব ঠিক হয়ে যাওয়ায় এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন এবার আর ভোটে গড়াচ্ছে না।
এবার চেম্বার গ্রুপ থেকে ২৩টি এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৩টি পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ এপ্রিল চেম্বার গ্রুপের দুইজন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের দুইজন যোগ্য প্রার্থী তাদের প্রত্যাহার করে নিলে নির্বাচন হয়ে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন।