পয়লা মে থেকে দেশের বাজারে কমছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজির দাম। বিশ্ব বাজারের দাম কমে আসায়, ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির দাম মূল্য সংযোজন করসহ ৯৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০৬ টাকা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে জ্বালানিখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে খরচে কোনো পরিবর্তন না আসায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকছে। কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের মতো ৫৯১ টাকা থাকছে।
যানবাহনের এলপিজির দাম প্রতি লিটারে কমেছে ২২ পয়সা। বিইআরসি জানিয়েছে, যানবাহনের জন্য প্রতি লিটার এলপিজিতে ৪৪ দশমিক ৯২ টাকার স্থলে গুণতে হবে ৪৪ দশমিক ৭০ টাকা।
এর আগে সবশেষ এ বছরের ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। সেদিন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্ব বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হবে।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকোর ঘোষিত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস অনুযায়ী এলপিজির মূল উপাদান প্রপেনের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৫৬০ ইউএস ডলার এবং বিউটেনের মূল্য ৫৩০ ডলার।
প্রোপেন ও বিউটেন- এই দুই উপাদানের ৩৫:৬৫ মিশ্রণে তৈরি হয় এলপিজি। সেই হিসেবে এক মেট্রিক টন এলপিজির দাম পড়ে ৫৪০ দশমিক ৫০ ইউএস ডলার।
এটিকে বিবেচনায় নিয়ে এই এলপিজির নতুন মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। ফলে প্রতি কেজি এলপিজির দাম পড়ে মূল্য সংযোজন করসহ ৭৫ দশমিক ৪৯ টাকা। সেই হিসেবে বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডারগুলোর দাম সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
দাম কার্যকর করা নিয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আদেশ বাস্তবায়নে কমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।’
সরকারি এলপিজির ইআরএল ও আরপিজিসিএল মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় এবং সরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয়ে সৌদি আরামকো ঘোষিত মূল্যের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকায়, এ দামটি অপরবির্তত থাকছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত মূল্য বিবেচনা করে ২৫ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সুপারিশ জমা দেয়া বিইআরসির কাছে। তার প্রেক্ষিতে ২৮ এপ্রিল অনলাইনে শুনানি হয়। সেখানে নতুন দাম চূড়ান্ত করা হয়।