বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি হলেন শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:১৩

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বুধবার নিউজবাংলাকে বলেছেন, সৈয়দ আব্দুল বারীকে তিন মাসের জন্য এমডি করার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

সোমবার বেলা তিনটায় জরুরি ভার্চুয়াল বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার। এতে অন্যান্য পরিচালকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

সভায় সবার সম্মতিতে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বুধবার নিউজবাংলাকে বলেছেন, সৈয়দ আব্দুল বারীকে তিন মাসের জন্য এমডি করার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তার ব্যাংকিং পেশা শুরু করেন।

এরপর আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনের ১২ বছর শাখা ব্যাংকিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হন।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এমডি নেই ন্যাশনাল ব্যাংকে। বারবার বলার পরও টনক নড়ছে না ব্যাংকটির। এবার এমডি নিয়োগে চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

২৮ এপ্রিলের মধ্যে একজন স্থায়ী এমডি নিয়োগ দিতে বলা হয়। তা না হলে আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার কথা।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদারকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগ না দিলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫–ক ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিল।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫–ক ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের এমডি পদ একাধারে তিন মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে এমডি পদ পূরণ না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে, যিনি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করবেন।

আইন অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগ না দিলে ব্যাংকটিতে প্রশাসক দিতে পারত বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে ঋণ বিতরণে অনিয়ম, এমডি না থাকা, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিচালনা পর্ষদে শুরু হয়েছে বিবাদ। সব মিলে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে ন্যাশনাল ব্যাংকে। এর আগে ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুল এমডির চলতি দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে দিতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার তার মেয়াদ বাড়ান, যা কার্যকর হয় ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু বিষয়টি বিধি পরিপন্থী হওয়ায় তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে আরেকবার ৬ এপ্রিল নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই নির্দেশের পর এ এস এম বুলবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্‌ সৈয়দ আবদুল বারীকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয় ব্যাংকটির পর্ষদ।

২৮ এপ্রিল ব্যাংকটির স্থায়ী এমডি পদ শূন্য থাকার তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীকে এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

এ বিভাগের আরো খবর