ডিজিটালি দক্ষ গ্র্যাজুয়েটদের কমনওয়েল্থ ডিজিটাল লার্নিং কর্মসূচিতে কাজের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে কমনওয়েল্থ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
‘কমনওয়েল্থ অফ লার্নিং এশিয়ান কনভোকেশন-২০২১’ শীর্ষক বৈঠকে বিশেষ বক্তা হিসেবে অংশ নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, চলমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ববাণিজ্য চলছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। সব কিছুতেই অটোমেশন চালু হয়েছে, ই-কমার্স, ডাটা এনালাইসিস, ই-ফার্মিং, ই-এগ্রিকালচার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আগামীর বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে কারিগরি দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।
‘বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এখন অসংখ্য ডিজিটাল গ্র্যাজুয়েট তৈরি হয়েছে। কমনওয়েল্থ ডিজিটাল লার্নিং কর্মসূচিতে এই গ্র্যাজুয়েটরা কাজের সুযোগ পেলে বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো উপকৃত হবে। এতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে।’
কনভোকেশনে বিশেষ বক্তা ছিলেন মালদ্বীপের হায়ার এডুকেশন মিনিস্টার ড. ইব্রাহিম হাসান, শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী প্রফেসর জি এল পেইরিস।
আরও বক্তব্য দেন কমনওয়েল্থ অফ লার্নিংয়ের স্পেশাল অ্যাডভাইজার ড. নাভিদ মালিক, প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রফেসর আশা কানওয়ার, কমনওয়েল্থ অফ লার্নিংয়ের অ্যাডভাইজার (স্কিল) ড. বাশিরহামাদ শাধরাচ এবং কুরসিরার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেফ মেগিঅনকলডা।
কমনওয়েল্থভুক্ত ৫৪টি দেশের দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ বিপুল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এ সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং ইন্টার পার্টনারশিপের মাধ্যমে তা কাজে লাগানো প্রয়োজন।’
করোনা পরবর্তী সময়ে কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলো নিজ নিজ দেশের বেকার জনবলকেও এই কমনওয়েল্থ ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনতে পারে। অনলাইন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এদের কর্মসূচির আওতায় আনা গেলেই কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী কমনওয়েল্থ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আসন্ন বৈঠকে এ ধরনের একটি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ রাখেন। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা অর্জনের কথাও কমনওয়েলথের এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করেছে।
চলমান মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ মহূর্তে কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে একযোগে।