বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবার টাকা চায় পোশাকশিল্প মালিকরা

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ২২:০৯

চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিশ্বের অনেক দেশই আগের মতো লকডাউনে রয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারাও এখন অপারগতা প্রকাশ করছে। এমন অবস্থায় ঈদের আগে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য মালিকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে অর্থের জোগান দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে সরকারের কাছে ফের টাকা চেয়েছে পোশাক শিল্পমালিকরা।

ঈদের আগে আর্থিক সংকটের কথা বলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে এট টাকা চেয়েছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা।

গতবারের মতো একই শর্তে এপ্রিল, মে ও জুন—এই তিন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়ার জন্য ঋণ চেয়েছেন তারা।

গতবারের মতো এবারও ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে জরুরিভিত্তিতে এই টাকা চেয়েছেন তারা।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনরোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দিয়ে ঋণ দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বিশ্বের অনেক দেশই আগের মতো লকডাউনে রয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারাও এখন অপারগতা প্রকাশ করছে। এমন অবস্থায় ঈদের আগে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদানের জন্য মালিকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে অর্থের জোগান দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়ার জন্য আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রোববার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বর্তমানে পোশাক রপ্তানির অর্থ সময়মতো দিচ্ছে না অনেক ক্রেতা। তারা ৬০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় চাইছে। এ ছাড়া অনেক ক্রেতাকে মূল্যছাড়ও দিতে হচ্ছে।

‘আবার ঈদের আগে বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস দিতে অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ কারখানামালিকদের হাতেই পর্যাপ্ত অর্থ নেই। সে কারণেই আমরা সরকারের কাছে ঋণ চেয়েছি।’

করোনার কারণে গত বছর্র মার্চে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ আসতে থাকে। তখন পোশাকশিল্পের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রপ্তানিমুখী শ্রমিকদের এপ্রিল, মে ও জুন—তিন মাসের মজুরি দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে।

এই ঋণের বিপরীতে সেবা মাশুল ছিল ২ শতাংশ। পরে পোশাকশিল্পের মালিকেরা আরও এক মাসের মজুরি দেওয়ার জন্য ঋণ দেয়ার দাবি করেন। সরকারও মেনে নেয়।

তখন তহবিলের আকার বেড়ে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তবে চতুর্থ মাসের জন্য ঋণের মালিকদের সুদ দিতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার।

রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য প্যাকেজটি ঘোষিত হলেও তহবিল থেকে সবচেয়ে বেশি প্রায় এক হাজার ৮০০ কারখানামালিক ঋণ নিয়েছেন। এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছিল ছয় মাস। পরবর্তী ১৮ মাসের কিস্তিতে সেই ঋণ পরিশোধের শর্ত ছিল।

তবে গত বছরের শেষ দিকে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রণোদনার ঋণের গ্রেস পিরিয়ডের সময় বাড়ানোর দাবি জানায়। সরকারও তা মেনে নেয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রণোদনা তহবিল থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধে ১ মার্চ থেকে বাড়তি ছয় মাস সময় দেয়ার নির্দেশনা দেয়। তার ফলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঋণের কিস্তি দিতে হবে মালিকদের।

ফারুক হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পে সংকট চলছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সেই সংকট আরও বেড়ে গেছে।

‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতনভাতা-বোনাস দেয়ার মতো টাকা কোনো মালিকের নেই। ঈদের আগে বেতন-বোনাস না দিতে পারলে কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিতে পারে’- বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি বলেন,‘সে কারণেই আমরা তিন সংগঠন মিলে সরকারের কাছে জরুরিভিত্তিতে গত বছরের মতো ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে ঋণ চেয়েছি। আশা করছি সরকার ইতিবাচক সাড়া দেবে।’

এ বিভাগের আরো খবর