অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশি এয়ারলাইনসগুলো। বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো ফ্লাইট শুরু করবে বুধবার থেকে, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান ফ্লাইট শুরু করবে পরের দিন থেকে থেকে।
মঙ্গলবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, যশোর ও সৈয়দপুরে ফ্লাইট শুরু করা হবে।
অন্যদিকে, বেসরকারি নভো এয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রামে তিনটি এবং যশোর, সিলেট ও সৈয়দপুরে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। আরেক বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা জানিয়েছে বুধবার থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুরে দুটি এবং বরিশালে একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এর আগে, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এই সময়ে হেলিকপ্টার বা জেনারেল এভিয়েশনের সেবা শুধুমাত্র মালিক পক্ষের ব্যবহারের জন্য খোলা থাকবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার থেকে সীমিত সংখ্যায় অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজ চলাচল করবে। কোন গন্তব্য থেকে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ফ্লাইট চলাচল করবে তা সার্কুলারের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
‘মুলত প্রবাসী কর্মীরা যারা রাজধানীর বাহিরে থেকে এখানে আসেন তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সাধারণ যাত্রীরাও জরুরি প্রয়োজনে যাওয়া আসা করতে পারবেন।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। সেই সময় থেকেই অন্যান্য আন্তজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।
এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অবস্থা চলার কথা থাকলেও সোমবার বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকেই বন্ধ করা হয় আন্তর্জাতিক সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট। তবে চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
অবশ্য পরে প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় রেখে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে গত শনিবার থেকে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই পাঁচ দেশ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। মঙ্গলবার এ তালিকায় যুক্ত হয় চীনের নাম।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানসহ মোট ১৪টি দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনস যাত্রী পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছে। এগুলো হলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস।