করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে চলমান ‘কঠিন’ ও ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে আগের নিয়মেই চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন। এই সময়ে ব্যাংক খোলা থাকায় পুঁজিবাজারও চালু রাখা হবে।
মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।
এবারও বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউজে যেতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে বা অ্যাপে অর্ডার দিতে হবে।
লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে ৫ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা ছিল পুঁজিবাজার। সে সময় ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা ছিল সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ সমন্বয়ের জন্য আধা ঘণ্টা প্রয়োজন হওয়ায় লেনদেন সময়সীমা নির্ধারন করা হয়ে বেলা ১২ টা পর্যন্ত।
সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে খোলা রাখা হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বেলা ১২টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ফলে পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে আধা ঘণ্টা কমিয়ে লেনদেন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত।
সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের সময়সীমা তৃতীয় পর্যায়ে বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
এ সময়ে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। যা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। আর আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন আগের মতোই আড়াই ঘণ্টা সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে লকডাউন দেয়ার খবরে ৪ এপ্রিল পুঁজিবাজারে সূচক পতন হয়েছিল ১৮২ পয়েন্ট। কিন্ত লকডাউন শুরু হওয়ার পর উত্থান ও লেনদেনের ইতিবাচক অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজার।
সর্বশেষ মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে ৭১ পয়েন্ট আর লেনদেন হয়েছে গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৯৯ কোটি টাকায়।