দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ভোটার তালিকা সংশোধনের আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে তৈরি করা ভোটার তালিকা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
এ বিষয়ে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ৫ মে এফবিসিসিআই ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ।
ওই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ফুড স্টাফ ইমপোর্টার অ্যান্ড সাপ্লায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি তারা একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে আমাদের ছাড়াই। এ কারণে বাণিজ্য বিধিমালা ১৯৯৪ এর রুলস অনুযায়ী তাদের কাছে আমরা দরখাস্ত দিই। কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট করি।’
আদালত রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেয়। আদেশে আগামী সাত দিনের মধ্যে দাখিলকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জারি করা হয়েছে রুল।
এফবিসিসিআই ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পরিচালক পদে ভোটগ্রহণ ৫ মে।
গত ১৩ মার্চ প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সংশোধনসাপেক্ষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ২৪ মার্চ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পরিচালক পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ৩১ মার্চ। ৮ এপ্রিল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১১ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিন। ১৫ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২১ এপ্রিল ছিল প্রত্যাহারে শেষ দিন।
৫ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরিচালক পদে সাধারণ সদস্যদের ভোটগ্রহণ শেষে ফল প্রকাশ করা হবে।